বাজেট ট্রাভেল টিপস বাংলাদেশ
ভ্রমণ মানে নতুন কিছু দেখা। শেখা আর অনুভব করা, তবে সব সময় যে ভ্রমণ করতে প্রচুর টাকা খরচ হবে। তা নয় সামান্য পরিকল্পনা, সচেতনতা আর কিছু কার্যকর টিপস জানলেই অল্প বাজেটে বাংলাদেশ ঘুরে দেখা সম্ভব। আমাদের দেশটি নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঐতিহাসিক নির্দেশন এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে, এই সৌন্দর্য ভোগ করতে গিয়ে আপনার খরচ হবে খুবই সীমিত।
অনেকেই ভেবে থাকেন, বাজেট ট্রাভেল মান্ কষ্ট আর সীমাবদ্ধতা। কিন্তু আদতে এটি একটি চতুর এবং দায়িত্বশীলের উপায় নিজের পছন্দের জায়গা গুলোতে ঘুরে দেখা চলুন জেনে নেই বাংলাদেশ ট্রাভেল করার কয়েকটি কার্যকর।
সূচিপত্রঃবাজেট ট্রাভেল টিপস বাংলাদেশ
- অগ্রিম পরিকল্পনা করুন
- পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন
- স্থায়ী খাবার বেছে নিন
- কম খরচে থাকার ব্যবস্থা বেছে নিন
- বিনামূল্যে বা কম খরচে দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা
- স্থায়ী গাইড এর সাহায্য নিন
- ট্রাভেল অ্যাপ ও ডিসকাউন্ট অফার ব্যবহার করুন
- ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিন
- গ্রুপ ভ্রমণ করুন
- নিজে থেকে তথ্য জোগাড় করুন
- শেষ কথাঃ বাজেট ট্রাভেল টিপস বাংলাদেশ
অগ্রিম পরিকল্পনা করুন
বাংলাদেশ বাজেট ট্রাভেল করতে হলে প্রথম প্রথম ধাপ হলো অগ্রিম পরিকল্পনা। গন্তব্য
নির্ধারণের সাথে সাথে হোটেল বাস বা ট্রেনের টিকিট বুক করে রাখা খরচ কমাতে
সাহায্য করে। অনেক ট্রাভেল এজেন্সি বা ওয়েবসাইট আগে বুক করলে ছাড় পাওয়া যায়।
স্কুল কলেজ ছুটির মৌসুমে, এড়িয়ে চললে খরচ তুলনামূলক কম হয়। গন্তব্য সম্পর্কে
ভালোভাবে রিসার্চ করে নিলে আপনি জানতে পারবেন কোথায় কম খরচ যে থাকা ও খাওয়ার
সুযোগ আছে। স্থায়ী গাইড ট্রাভেল ব্লগ বা ইউটিউব ভিডিও দেখে অনেক তথ্য আগে থেকে
জেনে নেওয়া যায়। ভালোভাবে পরিকল্পনা করলে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে এবং ভ্রমণ হবে
ঝামেলা হীন ও উপভোগ্য। অগ্রিম প্রস্তুতি বাজের ট্রাভেলেরা প্রথমে সাফল্যর
চাবিকাঠি।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন
ভ্রমণের সময় যানবাহনের খরচ বেশ বড় একটা অংশ দখল করে, বাংলাদেশের বাজেট ট্রাভেল করতে চাইলে বাস ট্রেন, রিকশা সিএনজির মত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করায় সবচাইতে উপযুক্ত, যদি ট্রেনের ভ্রমণ উপযুক্ত হয্ তাহলে তা নিরাপদ আরামদায়ক তুলনামূলকভাবে সত্তা।, শহরের মধ্যে বা শহর থেকে শহরে যেতে গ্রীন লাই্ শ্যামলী এসএ পরিবহনের মতো বা সার্ভিস ব্যবহার করলে ফরজ অনেকটাই নিয়ম টনে রাখা যায়।। স্থায়ী রুটে ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল বা মাইক্রোবাস ব্যবহার করলে অনেক বেশি টাকা গুনতে হয় তবে যদি আপনি গ্রুপে অনেক সদস্য থাকে, তাহলে একটি গাড়ি ভাড়া করলেও কস্ট এফেক্টিভ হতে পারে। সব সময় জনপ্রিয় ও নিরাপদ পরিবহনের দিকে ঝুকুন যাতে খরচ যেমন কমে নিরাপত্তা ও বজায় থাকে।
স্থায়ী খাবার বেছে নিন
ভ্রমণের সময় খাওয়ার খরচ নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্থায়ী খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে স্থায়ী রেস্টুরেন্ট বা হোটেল গুলোতে কম খরচে
সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। যেমন সিলেটের পান্তা চিংড়ি্ পুরান ঢাকার কাচ্চি
প্রাণী, সবই কম দামের পেট ভরানো যায়। তাই চেষ্টা করুন, লোকাল হোটেল বা রাস্তার
পাশে ছোট রেস্টুরেন্টে খেতে। তবে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে।, এতে শুধু
খরচি কম না বরং ওই অঞ্চলের খাবারের স্বাদও নিতে পারবেন। স্থায়ী খাবার খাওয়া
মানে শুধু অর্থ সাশ্রয় নয়, বরং নতুন অভিজ্ঞতাও।
কম খরচে থাকার ব্যবস্থা বেছে নিন
থাকার জায়গা নির্বাচন করে ও বাজেট ট্রাভেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।, বড়
হোটেলের পরিবর্তে আপনে গেস্ট হাউস হোস্টেল বার োমিটারি জাতীয় থাকার ব্যবস্থা
বেছে নিতে পারেন যেখানে এক রুমের একাধিক মানুষ একসাথে থাকতে পারে।, এসব স্থানে
ভাড়া অনেক কম হয় আবার অনেক সময় খাবার সহ প্যাকেজ পাওয়া যায়। এখন অনেক
ট্রাভেল অ্যাপের সাশ্রয়ী দামের হোটেল বা থাকার জায়গা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।,
যারা বেশি অ্যাডভান্সার প্রিয় তারা চাইল্ ক্যাম্পিংও করতে পারেন উপযুক্ত
জায়গায়, যেমন সেন্টমার্টিন সাজিক বা টাঙ্গাইল হাওরের এলাকায়। নিরাপত্তা
নিশ্চিত করে এমন কিছু সাহায্য নিতে পারেন। বাজেট অনুযায়ী থাকার জায়গা ঠিক রাখলে
আপনি একই খরচে আরো বেশি দিন ভ্রমণ করতে পারবেন।
বিনামূল্যে বা কম খরচে দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা
বাংলাদেশের অনেক সুন্দর জায়গা আছে যেখানে ঘুরতে কোন প্রবেশ মূল্য লাগে না বা খরচ খুবই কম।, উদাহরণস্বরূপ ঢাকা লালবাগের কেল্লা, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, খুলনা সুন্দরবন স্থায়ীভাবে গেলে সস্তা কিংবা রাজশাহীর পুঁটি বাড়িয়া এমন স্থানে ভুল ঘুরলে আপনি ইতিহাস ও প্রাকৃতিক মিশন পাবেন, তা অনেক কম খরচে। এছাড়া ঐ স্থায়ী বাজার, হাট বা ও উৎসব ঘুরে দেখলেও কোন খরচ ছাড়াই এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক কে কাছ থেকে দেখা যায়। এমনকি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি উদ্যোগের পরিচালনায় জাদুঘর বা পার্ক ও বিনামূল্যে বা নাম মাত্র খরচের দর্শনীয়। এসব জায়গার তালিকা আগেই তৈরি করে রাখলে আপনি সহজে পরিকল্পনা করতে পারবেন।
স্থায়ী গাইড এর সাহায্য নিন
বহিরাগত গত ট্রাভেল গাইডের বদলে স্থায়ী গাইডের সাহায্য নিলে , একদিকে যেমন খরচ
কমে অন্যদিকে তেমনি নির্ভরযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ে। স্থায়ী গাইডরা, সেই এলাকায়
অজানা ইতিহাস। সাংস্কৃতি ও কম খরচের ঘোরার পথ সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। তারা অনেক
সময় এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন যা সাধারন পর্যন্ত চোখে পড়ে না, কেনাকাটার
দামাদামির ক্ষেত্রে। রেও ইস্থাইদের সাহায্য অনেক কার্যকর হয়, অনেক সময়
স্থায়ীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করে বিনামূল্যে সাহায্য পাওয়া যায় যা পেড গাইডে
পাওয়া যায় না।। তবে অবশ্যই কাউকে বেছে নেওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে যাচাই-বাছাই
করে নিতে হবে সতর্ক থাকলে স্থায়ী গাইড হতে পারে আপনার ভ্রমণের অন্যতম
সহযাত্রী।
ট্রাভেল অ্যাপ ও ডিসকাউন্ট অফার ব্যবহার করুন
বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাজেট ট্রাভেল অনেক
সহজ হয়ে গেছে।। হোটেল বুকিং টিকিট কাটা সহ অনেক কাজ অনলাইনে করা যায় এবং এতে
আকর্ষণীয় স্যার পাওয়া যায় এমনকি কিছু অ্যাপ যেমন pathao,shohoz,obhai ইত্যাদি
মাঝে মাঝে ট্রাভেলস গোপন বা ডিসকাউন্ট অফার দেয়. এছাড়া ফেসবুক গ্রুপ বা
ট্রাভেল. ফর্ম থেকেও সময় বেধে ডিসকাউন্ট কোড বা সাশ্রয়ী ভ্রমণ পরিকল্পনা তথ্য
মেলে টিপস, এডভাইজার বুকিং ডটকম, আগোডা বা ট্যাবেলকা জাতীয় অ্যাপ ব্যবহার করলে
কম অনেক কম খরচে বিশ্বস্ত হোটেল ও যাত্রা এদের তথ্য পাওয়া যায়. সচেতন
ব্যবহারকারী ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অল্প বাজেটে দারুণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিতে
পারেন।
ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিন
বাজেটটা বেলের একটি কৌশল হচ্ছে হালকা ব্যাগ ভ্রমণ করা, বাড়তি পোশাক অপ্রয়োজনীয় জিনিস না নিয়ে কেবল দরকারি জিনিস রাখলে আপনার অতিরিক্ত লাগে ফ্রি দিতে হবে না। এবং চলাচল সহজ হবে। ব্যাগে রাখুন প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, চার্জার, ছাত্ ওয়াটার বোতল। স্যানিটারি সামগ্রী ও টিস্যু নিজের জিনিসের সঙ্গে রাখলে আপনি দামি জায়গা থেকে এমন। এসব কিনে খরচ বাড়াবেন এমন কি কিছু খাবার ও পানির সঙ্গে রাখতে পারেন রাস্তায় খরচ কমাতে। ছোট ব্যাগে ভ্রমণ মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়। বরং এক ধরনের স্বাধীনতা ও হাঁটাচলা সহজ হওয়ায় আপনি আরো বেশি জায়গায় ঘুরতে পারবেন কম সময়ে।
গ্রুপ ভ্রমণ করুন
বাদে ট্রাভেল এর অন্যতম কার্যকর কৌশল হলো গ্রুপ ভিত্তিক ভ্রমণ, যেমন একসাথে চার-পাঁচ জনের একটি দল মিলে কোথাও ঘুরতে যান তখন খরচ অনেকটাই অনেক ভাগেই কমে যায্ যেমন হোটেল ভাড়া, টানা স্পোর্ট। খাবার বা গাইটিং খরচ, একটি রুমে একাধিক ব্যক্তি থাকলে থাকার খরচ কমে যায়,। আর ভাড়ার গাড়ি নিলে সেটা ভাগ করে নেওয়া যায়। এমনকি অনেক সময় হোটেলে বা রেস্টুরেন্টের গ্রুপের বুকিং এ ছাড় পাওয়া যায় তাছাড়া গ্রুপের ঘোড়ার আনন্দই আলাদা নতুন অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, নিরাপত্তা। সঙ্গীর সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সময় সহযোগিতা পাওয়া যায় ট্রাভেল গ্রুপ বা ব্রেকিং, ক্লাব গুলোর সাথেও আপনি যুক্ত হতে পারেন। যারা অনেক সময় অল্প খরচের ভ্রমণের আয়োজন করে তাই একা ভ্রমণের বদলে বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে নিয়ে পরিকল্পনা করলে খরচ বাসে এবং আনন্দ দ্বিগুণ হয়।
নিজে থেকে তথ্য জোগাড় করুন
বাদের ট্রাভেল করতে চাইলে নিজে থেকে তথ্য জোগাড় করো করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, অনেকে এজেন্সির উপর নির্ভর করে। কিন্তু এতে খরচ অনেক বেড়ে যায়, ইন্টারনেটে অসংখ্য ট্রাভেলস ব্লগ ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক গ্রুপ আছে যেখানে নানা, গন্তব বাজেট খাবার। থাকার ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হয় আগে থেকেই এসব রিভিউ অভিজ্ঞতা পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় গেলে খরচ কম। কোথায় কিভাবে গেলে সুবিধা বেশি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে রুট দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করুন। ভ্রমণ কালে তথ্য সংগ্রহ করে রাখলে ভবিষ্যতে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। নিজে তথ্য জানলে কাউকে বাড়তি টাকা না দিয়ে স্বাধীনভাবে ঘোরা যায্ এবং ভ্রমণ হয় নিজের মতো করে যা আসল বাজে টাভেলের লক্ষ্য।
শেষ কথাঃ বাজেট ট্রাভেল টিপস বাংলাদেশ
বাজেট টাভেল মানে কিন্তু মালবাহী বা। অস্বস্তিকর ভ্রমণ নয় বরং এটি একটি সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত উপায় অল্প খরচে আনন্দদায়ক ভ্রমণের। বাংলাদেশে এমন অসংখ্য স্থান আছে যেখানে খুব কম খরচে ভ্রমণ করা সম্ভব। পরিকল্পনা সঠিক তথ্য কিছুই স্মার্ট কৌশল কাজে লাগালে আপনি সস্তায় ঘুরে দেখতে পারেন পাহাড্, সমুদ্র হাওর কিংবা ঐতিহাসিক নির্দেশন। শুধু খরচ কমানো নয়, বরং প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতির সাথে মিশে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন নেই হোক বাজেট ট্রাভেলের মূল লক্ষ্য তাই আজই ব্যাগ গুছান্ একটি বাজেট বানান আর বেরিয়ে পড়ুন আপনাকে নতুন করে আবিষ্কারের পথে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url