স্বাস্থ্য ভালো রাখার কিছু গুরুতবপূণ টিপস

স্বাস্থ্যই সম্পদ এই প্রবাদটি আমরা সবাই জানি কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে মানা হয় খুব কমই।, আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা অনিয়মিত খাদ্য অভ্যা্‌ ঘুমের অভাবে এবং মানসিক চাপ আমাদের শরীর ও মনের উপরে পরে বিদ্যুৎ প্রভাব। তাই সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য নিয়মিত অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরী।



 এই ব্লগে আমরা জানবো দৈনিক জীবনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সহজ কার্যকর এবং বাস্তবসম্মত কিছু টিপস।এগুলো মেনে চললে আপনি শুধু রোগমুক্ত থাকবেন না বরং আরো বেশি কর্ম কম আত্মবিশ্বাসী ও থাকবেন

সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার টিপস

প্রতিদিন পরিমিত পানি পান করুন

শরীর সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকর একটি স্বাস্থ্য টিপস হলো প্রতিদিন যথেষ্ট পানি পান করা। আমাদের শরীরে ৭০ ভাগ অংশ পানি দিয়ে গঠিত এবং শরীর প্রতিটি কোষ সঠিকভাবে কাজ করতে পানির অপরিহার্য। অনেকেই পানি কম খান,যা ডিহাইড্রেশন, কিডনির সমস্যা,মাথা ব্যথা ও ত্বকের শুষ্কতা সৃষ্টি করে। দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উপকারী। বাইরে বের হলে সঙ্গে পানির বোতল রাখুন এবং খাবারের আগে ও পরে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুব।স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়্‌ নিয়মিত পানি খাওয়া আপনার হজম শক্তি উন্নত করে। ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয় তাই শরীর সুস্থ রাখতে সহজ সৃষ্টি প্রতিদিন মেনে চলুন

পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুম নিশ্চিত করুন

স্বাস্থ্য টিপস এর মধ্যেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যাপ্ত ঘুম।। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ধনী কণ্ঠ তো সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন ঘুমের ঘাটতি হলে শরীর ও মন উভয়ে অনু নৈতিক বাচক প্রভাব ফেলে।এটি মানসিক চাপ বাড়ায় স্মৃতিশক্তি দুর্বল কর, প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বানিয়ে বাড়ায়। ঘুমের সময় নির্ধারিত রাখা খুবই জরুরী। প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জায়গার অভ্যাস গড়ে তুললে দেহের বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিক থাকে। মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহার গ্রুপ এর আগে কমিয়ে দিন এবং ঘরের আলো নিভিয়ে রাখুন। স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী, ঘুমের আগে হালকা খাবার খাওয়া এবং চাট কফি এড়ানো ঘুমের গত মান উন্নত করে। একটানা ও আরামদায়ক ঘুম সারাদিন আপনাকে চন্দমনে রাখবে।

স্বাস্থ্যকর নাশকতা অভ্যাস গড়ে তুলুন

প্রতিদিন সকালে নাস্তা শরীরের শক্তি প্রাথমিক উৎস।, এটি আপনার মেয়েটা বলিজম শুরু করে মস্তিষ্ক সচল রাখে এবং সারাদিন কর্মক্ষম করে। অনেকে ওজন কমাতে না খেয়ে থাকেন যা মারাত্মক ভুল। স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী।নাস্তা বাদ দিয়ে রক্তের সুগার লেভেল কমে যায়। মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা দেখা দেয়, স্বাস্থ্যকর নাস্তা থাকতে পারে ডি্‌ দুধ্‌ ও রুটি। কলা বা বাদাম। হালকা প্রোটিন ও কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার সকালে খেলে সারাদিন ক্ষুদা কমে আপনি যদি অফিসে যান বা পড়াশোনা করেন,। তাহলে অবশ্যই ঘর থেকে বের হবার আগে কিছু খেয়ে নিন। নাস্তা করার এক দুই ঘন্টার মধ্যে শরীর সবচেয়ে বেশি কার্য-ক্ষম ও থাকে। প্রতিদিন একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা জীবন মান উন্নয়নের সাহায্য করে ।

প্রক্রিয়াজাত খাবারের ইয়ে চলুন

 ফাস্ট ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার খেতে মজা হলেও এগুলো স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।, সব খাবারের অতিরিক্ত লবন, চিনি, ট্রান্স সংগ্রহকারী রাসায়নিক থাক্‌ যা শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।, স্বাস্থ্যটি অনুযায়ী দীর্ঘ দিন পত্রিকা ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সার বাড়ে। বরং চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক ও ঘরের তৈরি খাবার খেতে।, ভা্‌ ডাল, শাক-সবজি। ফলমূল ও মাছ আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রায়ই আমরা ক্লান্তি বা অলসতার কারণে প্রতীক, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাই। অথচ একটু পরিকল্পনা করলে ঘরোয়া খাবার সহজে প্রস্তুত করা যায়।, তাই প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন আনুন কারণ স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হলে খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরী।

নিয়মিত হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন

শারীরিকভাবে সব প্রিয় থাকা ভালো স্বাস্থ্য প্রধান ভিত্তি।, আপনি যদি জিমে যেতে না পারেন তবুও প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী্‌ নিয়মিত হাটার মাধ্যমে হার্ট ভালো থাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ওজন কম্‌ হজম ভালো হয় এবং মানসিক প্রশান্তি আসে। হাটা খুব সহজ, বিনামূল্য মূল্যে এবং সবার জন্য উপযোগী একটি ব্যায়াম। সকালে বা সন্ধ্যায় পার্কে বা বাসার চারপাশে হাঁটার অভ্যাস তৈরি করুন। চাইলে একসঙ্গে বন্ধু বা পরিবারের কাউকে নিয়ে হাঁটলে সময়টি উপভোগ হ... হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন এবং। জল খাবার ভুলবেন না প্রতিদিন নিয়ম করে হাটা আপনাকে রোগমুক্ত ও মন ভালো রাখবে।

মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করুন

 আমাদের বাস্তব জীবনে মানসিক চাপ একটি বড় সমস্যা, এটি শরীরের কোটিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয্‌ যার ফলে ঘুমাতে ব্যাঘাত, হৃদরোগ। চর্মরোগ এবং হজমে সমস্যা দেখা দেয়, স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী দেন বা মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিদিন মাত্র 10 মিনিট চোখ বন্ধ করে শান্তভাবে বসে গভীরভাবে শ্বাস নিন। এটি ধ্যানের প্রথম ধাপ চাইলে ধর্মীয় প্রার্থনা, নামাজ বা জিকির ও মনোযোগ করা যায়। এর ফলে মন শান্ত হয়, মনোযোগ বাড়ে এবং সৃষ্টিশীলতা ফিরে আসে। সকালে অথবা রাতে একাকি শান্ত পরিবেশ ধ্যান করুন। মানসিক চাপ কমাতে শরীরের স্বাস্থ্যের উপরে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সঠিক ভঙ্গিমায় বসা ও কাজ করা

বর্তমানে সময় সময়ে অনেকে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করেন।, ফলে ঘাড়। পিঠ ও চোখের সমস্যা হয়। স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী। সঠিক ভঙ্গিমায় বসাও কাজ করা অত্যন্ত জরুরী।, চেয়ারে বসে কাজ করার সময় আপনার পিঠ সোজা কাঠ আরামদায়ক এবং চোখ মনিটরের সরাসরি লেভেলে থাকা উচিত। প্রতি ৩০ ৩৫ মিনিট অন্তত উঠে দাঁড়ানো,। হাত পা নড়া না উচিত ফোন ব্যবহার বারবার মাথা নিচু না করে চোখের উচ্চতায় তুলে ধরুন। দীর্ঘ সময় খারাপ ভঙ্গিমায় থাকলে ব্যাক পেইন স্পন্ডিলাইটিস এবং চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সচেতনভাবে ভালো ভঙ্গিমা বজায় রাখুন এবং দরকার হলে ওয়ার্ক স্টেশন ঠিক করুন।

রোদে দাঁড়িয়ে ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন

 ভিটামিন ডি আমাদের হাড়,দাত,এবং রোগ প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ অধিকাংশ মানুষ এখন রোদের অভাবে ভিটামিন ঘাট্টিতে ভুগছে।, স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী সাথে অন্তত তিন দিন সকালের ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে দাঁড়ান। খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে, হাত মুখ খোলা রেখে ভিটামিন ডি শোষণ করুন। এছাড়া ডিম, মাছ দুধে দুধেও ভিটামিন ডি রয়েছে। যারা ঘরে বসে কাজ করেন,। তাদের জন্য ভিটামিন ডি খুবই জরুরী এর অভাবে, হাড় দুর্বলত্‌ ক্লান্তি। ওজনের হ্রাস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্য টিপস।

ফল মূল্য শাকসবজি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন

ফল ও শাকসবজি হলো প্রাকৃতিক ভিটামিন,। মিনারেল এবং ফাইবার ভান্ডার, স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী প্রতিদিন ৫ ধরনের রঙিন ফল ও সবজি খাওয়া উচিত।, এটি হজম শক্তি বাড়ায্‌ তক উজ্জ্বল করে রক্ত পরিশোধন করে এবং দেহকে টক্সিন যুক্ত রাখে।, আপে্‌ কলা পেঁপে, গাজ্‌ লাউ, পালং শাক ইত্যাদি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবার। বিশেষ করে যারা নিয়মিত প্রক্রিয়া জাত খাবার খান, তাদের জন্য ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।। আপনি চাইলে সকালের নাস্তায় ফল রাখতে পারেন বা বিকেলের নাস্তার ফলের সালাত খেতে পারেন স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে এই অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকর।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের সচনতা

আমরা অনেকেই রোগের লক্ষণ না দেখে ডাক্তারের কাছে যাই না। কিন্তু স্বাস্থ্যটির অনুযায়ী, বছরে অন্তত একবার পূর্ণ শরীর চেকআপ করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটি্‌  কোলেস্টেরল, থাইরয়েড,। এসব নিয়মিত পরীক্ষা করলে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে ত্রিশ বছর পর থেকে নিয়মিত চেকআপ জরুরী যদি পরিবারের কোন, জেনেটিক রোগের ইতিহাস থাকে তাহলে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।, নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকলে চিকিৎসা সহজ হয় সুস্থ থাকাও সহজ হয়। সেজন্য নিজের প্রতি যত্নশীল হোন এবং অগ্রাহ্য না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শেষ কথাঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার টিপস

 স্বাস্থ্য হলো জীবনের মূলধন যে কোন স্বপ্ন,। সফলতা বা সম্পদের আগে দরকার সুস্থ শরীর ও মন এই লেখায় দেওয়া দশটি টিপস। আপনি প্রতিদিন জীবনের অনুসরণ করলে আপনার জীবন আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন, পানি খাওয়্‌ ঘুম, সুষুম খাবার শারীরিক কার্যকলাপ ও মানসিক প্রশান্তি সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যবান গড়ে তুলুন।, মনে রাখবেন রোগ হলে চিকিৎসা দরকা্‌। কিন্তু রোগ না হওয়াটাই আসল বুদ্ধিমত্তা। তাই রোগ প্রতিরোধ এই স্বাস্থ্য টিপগুলো হোক আপনার প্রতিদিনের অভ্যাস, আজ থেকে শুরু করুন কারণ আপনি যত ভালো থাকবেন আপনার পরিবার সমাজ এবং দেশ ততটাই সুন্দর থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url