ওজন কমানোর উপায়
বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত ওজন বা শীতলতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে,
অনিয়মিত খাবার অভ্যাস প্রয়োজনী ক্যালরি গ্রহণ। শরীরকে পরিশ্রমের অভাবে এবং
মানসিক চাপের কারণে ওজন বেড়ে যায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অতিরিক্ত
ওজন শরীরের জন্য শুধু অস্বাভাবিক কারণে নয্ বরং এটি উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস
হৃদরোগ ও হরমোনে জনিত নানা জটিল রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ
রাখা শুধু সৌন্দর্যই নয়, স্বার্থ রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরী।
কিছু স্বার্থ কার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।, মনে রাখতে হবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য ও নিয়মিততা খুবই জরুরী চলুন জেনে নেই ওজন কমানোর পরিক্ষিত ও স্বাস্থ্যকর উপায় গুলি।
সূচিপত্রঃ ওজন কমানোর সহজ উপায় ওজন কমানোর সহজ উপায়
ওজন কমাতে খাদ্য নিয়ন্ত্রণস
ওজন কমানোর প্রথম ও প্রধান উৎস হল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রতিদিন কত ক্যালরি গ্রহণ করছেন সেটা জানা ও নিয়ন্ত্রণ করার মূল কাজ।,। উচ্চ ক্যালোরি খাবার যেমন ভাজাপোড়া চিনি বা বেশি তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, পরিবর্তে খাদ্যের তালিকায় রাখুন শাক-সবজি, ফলমূল, আঁশ যুক্ত খাবার ও কম তোর বিযুক্ত প্রোটিন।। প্রতিদিন তিন বেলায় ভারী খাবারের বদলে 5 বেলা হালকা করে খাবার খাওয়া ভালো। সকালে ভালো খাবার দুপুরে ভারসাম্যপূর্ণ খাবারও রাতে হালকা খাবার খেতে হবে অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস ছাড়তে হবে এবং খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম
ওজন কমাতে প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট ব্যায়াম করা উচিত, হাটা দৌড়ান, জাম্পিং যোগব্যায়াম, ইস স্কিপিং বা ডান্স যেকোনো কিছু নিয়মিত ভাবে করা যেতে পারে ব্যায়াম শুধু ক্যালোরি পড়ায় না। বাড়িয়ে দেয় যা শরীর চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে, যাদের সময় কম তারা ঘরে বসে youtube এর ভিডিও দেখে হালকা কার্ডিও করতে পারেন।, ব্যায়াম করার সময় শরীরের পানি ঘাটতি যেন না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের গঠন ও সুন্দর হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ওজন কমাতে পানি পান
অনেকে জানেন না পর্যাপ্ত পানি পান করলে ওজন কমানোর জন্য জরুরী। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং প্রতিক্রিয়াকে সচল রাখে, খাবারের আগে এক দুই গ্লাস পানি পান করলে খোদা কমে যায়। ফলে কম খাওয়া হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে 8 থেকে 10 গ্লাস পানি পান করা উচিত। অনেক সময়, বিপাশা ও ক্ষুধাকে আমরা বিভ্রান্ত করি। তাই নিয়ম করে পানি পান করা উচিত চিনে মেশানো সফ্ট ড্রিঙ্ক বা জুসের পরিবর্তে বিশুদ্ধ পানি গ্রহণ করুন।
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন জন্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।, চকলে্ কে, ক শপি্।
সাত কোটি খাবারের অতিরিক্ত চিনি লবণ ও টানাক্স থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ
ধরনের খাবারের ক্ষণিকের জন্য মজা দিলেও তা দ্রুত শরীর জমে ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই
ওজন কমাতে হলে এমন খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মিষ্টির পরিবর্তে ফলে
প্রাকৃতিক মিষ্টতার উপভোগ করুন।
ঘুমের সময় ঠিক রাখা
ওজন কমানোর জন্য শুধু খাবার ও ব্যায়াম নয়, ঘুমও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস শরীরের হরমোন
ব্যালেন্স ঠিক রাখে। পর্যাপ্ত ঘুমে ঘ্রেলিন , নামক খুদা বানানো হরমোন বেড়ে যায়
ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।, এছাড়াও লেপটির নামক হরমোন কমে যায় জাত
তৃপ্তি অনুভূতি কমিয়ে দেয়।। তাই ঘুমের সময় ঠিক না থাকলে ওজন বাড়তে শুরু করে।
প্রতি রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন, যাতে শরীর ও মন প্রশান্ত
থাকে এবং বিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে। রাতে জেগে মোবাইল দেখা অতিরিক্ত কাজের
চাপ দেরিতে ঘুমানো কিংবা সকালে দেরিতে ওঠা এসব অভ্যাস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।,
তাই ওজন কমাতে চাইলে ঘুমের সময় নির্দিষ্ট করুন এবং প্রতিদিন সেই অনুযায়ী চলার
চেষ্টা করুন। ভালো ঘুম মানে সুস্থ শরীর ও সহজে ওজন কমানোর পথ।
ওজন কমাতে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
মানসিক চাঁদ ভাই স্টেজ বেশি হলে হরমোন বেড়ে যায় যা ওজন বৃদ্ধির কারণ।, অনেকেই দুঃখ বা উদ্বেগের বেশি খেয়ে ফেলেন। যাকে ইমোশনাল এডিটিং বলা হয় ওজন কমাতে হলে মানসিক চাপ কমানোর কৌশল শিখতে হবে। নিয়মি্ মেডিটেশন, প্রার্থনা গান শোনাবা নিজের পছন্দের কাজ করে মানসিক শান্তি বজায় রাখতে হবে।
ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার
ওজন কমানোর জন্য সঠিক খাবার বেছে নেওয়ার অত্যন্ত জরুরী, উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত তেল চর্বিযুক্ত ও। প্রক্রিয়া জাত খাবার বাদ দিয়ে কম ক্যালরি ও পুষ্টি কর খাবার গ্রহণ করা উচিত, শাক-সবজি ফলমূ্ ও্ ব্রাউন রাইস ডাল, সিদ্ধ ডিম,গ্রিল্ড,মাছ, চোর বিহীন মাংস এবং দই এসব খাবার ওজন কমাতে সহায়তা করে। আর যুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি ও whole,grain । খাবার বেশি খেলে পেট ভরা থাকে এবং খিদে কমে। অতিরিক্ত চিনি ও লবণ দিয়ে চলতে হবে। খাবারের পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখলে মাংসপেশী ঠিক থাকে ও ফ্যাট কমে। দিনে ৫-৬ বার হালকা খাবার খাওয়ার উপকারী, ওজন কমাতে চাইলে শুধু কম খাবার নয় বরং স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়ায় মূল কৌশল।
নিয়মিত হাটার উপকারিতা
ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় হল নিয়মিত হাটা। প্রতিদিন অন্তর ৩০ থেকে ৪৫
মিনিট হাঁটলে শরীর অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ হয় এবং চর্বি কমে।, হাট হল এমন একটি
ব্যায়াম যা যেকোনো বয়সের মানুষ সহজেই করতে পারে।। সকাল বা সন্ধ্যা খালি পেটে
হাঁটলে উপকার আরো বেশি পাওয়া যায়।, লিফট এর পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহা্ বাস থেকে
আগে নেমে হাটা। বাজার থেকে হেঁটে যাওয়ার মত অভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে ওজন কমাতে
সাহায্য করে। হাঁটার ফলে মানসিক প্রশান্তি বাড়ে এবং ঘুম ভালো হয় তাই ওজন কমাতে
প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ঘরে বসে ওজন কমানো
জিমে না গিয়ে ঘরে বসে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব। যদি সঠিক নিয়মে চলা যায় ঘরে বসে ব্যায়াম করার দরকার শুধু ইচ্ছা ও সামান্য সময়।ইউটিউব,বা,অ্যাপের,সাহায্য স্কোয়াট,প্ল্যাংক,পুশ,আপ,লাংজ,জাস্পিং জ্যাকস এর মতে সহজ এক্সারসাইজ করা যায়। এছাড়া ঘরের কাজের শরীল সক্রিয় রাখলেও ক্যালোরি খরচ হয়। সঙ্গে হালকা ওজনের ডান বেল বা রেজিস্টেন্স ব্র্যান্ড ব্যবহার করে আরো কার্যকর ব্যায়াম করা সম্ভব।। সময় না থাকলে দিনে কয়েকবার পাঁচ থেকে দশ মিনিট করে ব্যায়াম করা যেতে পারে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারও পর্যাপ্ত পানি পান বজায় রাখতে হবে ঘরে বসেই নিয়ম মেনে চললে ওজন কমানো সম্ভব।
ওজনকমানোর ধৈর্য ও অভ্যাস
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য নিয়ম সবচেয়ে বড় অস্ত্র, একদিনে ওজন বাড়েনি। তাই একদিনেও কমবে না অনেকে শুরুতে উৎসাহ নিয়ে ডায়েট ও ব্যায়াম শুরু করলেও কিছুদিন পর হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেন।, কিন্তু নিয়মিতভাবে সঠিক খাবার খাওয়া প্রতিদিন ব্যায়াম করা এবং ঘুম ও পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়।, ধৈর্য ধরে একমাস দুইমাস এমনকি ছয় মাস পরেও যদি নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে ওজন কমিয়ে। কমবে নিশ্চয়ই। ছোট ছোট অভ্যাস যেমন চিনি কম খাওয়া প্রতিদিন হাঁটা, জ্যাঙ্ক ফুড বাদ দেয়া এই নিয়মিত অভ্যাসগুলো বড় পরিবর্তন আনে।
শেষ কথাঃ ওজন কমানো
ওজন কমানো কোন যাদুকরি। ব প্রক্রিয়া নয় এটি সময়শাপেক্ষ । ও পরিশ্রম সাধ্য একটি
জীবনযাত্রা পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া্ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়মিত ব্যায়াম, ঘুম,
পানি পান, মানসিক শান্তি ও ধৈর্য এই ছয়টি বিষয়ে একসঙ্গে মেনে চললে কাঙ্ক্ষিত
ওজন কমানো সম্ভব। প্রথমে একটু কঠিন মনে হলে অভ্যাস গড়ে উঠলে এই জীবন ধারাই হয়ে
উঠবে আপনার নতুন স্বাস্থ্যবান পরিচয়। মনে রাখতে হবে, ওজন কমানোর মূল চাবি কাঠি
হল ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইতিবাচক মানসিকতা। নিজের জন্য সময় দিন, নিজের শরীরকে
ভালোবাসুন।, নিয়ম মেনে চললে আপনিও পারবেন সুস্থ ফিট এবং আত্মবিশ্বাসী জীবন
গড়তে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url