ঘুম না হলে কী সমস্যা হয়
আমাদের জীবনের এক ও বিস্তৃত অংশ। যা আমাদের শরীর ও মনের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন ক্লান্তি দূর করে। শরীরের কোষগুলো পুনরায় সচল করে এবং মস্তিষ্ককে নতুন দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে একমাত্র ঘুমি। কিন্তু বর্তমান মানে আধুনিক জীবনযাত্রায় প্রযুক্তি আসক্তি আসক্তি মানসিক চাপ ও বাস্তবতার কারণে মানুষ পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই ভাবেন ঘুম একটু কম হলেও চলবে কিন্তু বাস্তবতা হলো ঘুম ঠিক না হলে শরীরের ও মনের উপরে নানা ক্ষতিগ্রস্ত প্রভাব পড়ে।
এই লেখায় আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয়। এবং তা আমাদের শরীরও মনকে কিভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় প্রতিটি সমস্যার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরা হবে যেন আপনি সচেতন হতে পারেন ঘুমের গুরুত্ব নিয়ে।
সূচিপত্রঃ ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়
মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়
অনিয়মিত বা অপর্যাপ্ত ঘুম সরাসরি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব
ফেলে। ঘুম হলো মস্তিষ্কের জন্য বিশ্রামের সময় যখন তা সারাদিনের তথ্য
প্রক্রিয়াকরণ করে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কিন্তু যখন ঘুম সঠিকভাবে না
হয় তখন মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং এর ফলস্বরূপ আমাদের
ভেতরে চাপ উদ্বেগ এবং হতাশা অনুভব সৃষ্টি হয়।। এই চাঁদ কেবল মনের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং এটি দৈনিক কাজকর্মের একাগ্রতা কমিয়ে দেয় সিদ্ধান্ত
গ্রহণের জরতা আনে এবং সামাজিক আচরণেও নৈতিক প্রভাব ফেলে অনেকেই অল্পতে রেগে য...
ছোটখাটো বিষয় হতাশ হয়ে পড়েন এ কারণে মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম
অত্যন্ত জরুরি তাই বলা যায় ভুল ঠিক না হলে কি সমস্যা হয়। তার প্রথম ও অন্যতম
গুরুতর । তোর হলো মানসিক চাপ বৃদ্ধি এই চাপ দীর্ঘমেয়াদি ডিপ্রেশন বা অন্যান্য
মানসিক রোগে রূপ নিতে পারে যা জীবনযাত্রায় মান নষ্ট করে দেয়।
স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়
স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে ঘুমের ভূমিকা-অপরশীল। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক দিনভর গৃহীত তথ্যকে সংরক্ষণ করে এবং তার দীর্ঘ মেয়াদী রীতিকে রূপান্তরিক করে, যখন আমরা ঠিকমতো ঘুমাই ন্ তখন এই প্রতিক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে নতুন কিছু শেখা বা মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে শিক্ষার্থী বা চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে।, ঘুম ঠিক না হলে টিপো ক্যাম্পাস নামক মস্তিষ্কের যে অংশটি সিটি গঠনের মূল ভূমিকা রাখে। তার কার্যকারিতা হ্রাস পায়। এর ফলে বিগত দিনের স্মৃতি ঝাপসা হয়ে যায় এবং নতুন কিছু শেখার সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয় গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে পর পর কয়েক রাত ঘুমের ঘাটতি মানসিক বিভ্রান্তি ভুলে যাওয়া এবং মনো সংযোগের ব্যাঘাত ঘটায়।। এটি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নৈতি বাচক প্রভাব ফেলে ।সুতরাং যখন প্রশ্ন আসে ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তখন তার গুরুত্বপূর্ণ একটি উত্তর হল স্মৃতি শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে যারা লেখাপড়া বা মেধাবৃত্তিক কাজে যুক্ত তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে চিন্তা বিষয়।
আরও পড়ুনঃ01
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
ঘুম আমাদের শরীরের প্রতি রক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে গভীর ঘুমের সময় শরীর ও অ্যান্টি বডি তৈরি করে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।। কিন্তু যখন নিয়মিত ভাবে ঘুম ঠিকভাবে হয় না তখন শরীর এই প্রতিরোধ শক্তি গঠন করতে ব্যর্থ হয় ফলে সাধারণ ঠান্ডা জ্বর থেকে শুরু করে জটিল সংক্রমন সহজে আক্রমণ করতে পারে।, ঘুমের অভাবে সাইটোপ গাইড নামক এক ধরনের প্রোটিনের মাত্রা কমে যায়। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, এছাড়া ঘুমের ঘাটতি রোগ প্রতিরো্ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে শত স্বার্থের সময় বেশি লাগে এবং শরীর সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন। নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থা... তাই ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া কিংবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে বাঁচতে ঘুম অপরিহার্য, এজন্যই বারবার বলা হয় ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার একটি বড় ফলাফল হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় যা আমাদের সামগ্রিক খাদ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ওজন বেড়ে যায়
অনিয়মিত ঘুমের অন্যতম একটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া, ঘুমের
ঘাটতির ফলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ভিন্ন তো হয় বিশেষ করে গ্লইন ও লেপটির নামক
দুটি হরমোন।। খুদা বাড়ায় আর ল্যাবটিং খাওয়ার পরে তৃপ্তি অনুভূতি দেয়্ তখন
তখন বেড়ে যায় ও লেপটিন কমে যায়, । ফলে খোদা বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত খাওয়ার
প্রবলতা দেখা দেয়, এই অতিরিক্ত খাবার সাধারণত উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর
হয়।, কারণ ঘুমের অভাবে আমাদের চিনিযুক্ত চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করে
পাশাপাশি ঘুম না হলে শরীর ক্লান্ত থাক্ ফলে শারীরিক কার্যক্রম কমে যায়,। যা
মেটাবলিজম ভিড় করে দেয় এবং ক্যালোরি খরচ কমিয়ে দেয়।,। এইসব কারণ একত্র মোটা
হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান তাদের অবশ্যই ঘুমকে
গুরুত্ব দিতে হবে, দেখা যাচ্ছে ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার মধ্যে অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি যা পরবর্তী ডায়াবেটিস রক্তচাপ ও হার্ট সমস্যা ডেকে
আনতে পারে।
আরও পড়ুনঃ02
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে
নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম শুধু মস্তিষ্ক নয়।, হৃদ যন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ঘুমের সময় আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে হ্রদস্পন্দন । স্থির থাকে এবং শরীরের স্টেজ লেভেল কমে যায়। কিন্তু ঘুম ঠিক না হলে এই স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহিত হ... যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়,। ঘুমের অভ্যাস নামক হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। দীর্ঘমেয়াদি এটি উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের দুর্বলতা এবং এমনকি হার্ট এটাকে ঝুঁকি তৈরি করে, গবেষণায় দেখা গেছে যে সব মানুষ সাথে পাঁচ ঘন্টা কম ঘুমায়। তাদের হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, এছাড়াও ঘুম ঠিক না হলে শরীরের পরিমাণ বেড়ে যায়। হৃদ যন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন নিরবোধ চিহ্ন ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা হৃদরোগ প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, অতএব ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার অন্যতম ভয়াবহ উত্তর হলো হৃদরোগের বৃদ্ধি জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে।
ডাইবেটিসের আশঙ্কা
ঘুমের অভাব ,। শুধু ক্লান্তি বা বিরক্তির কারণ নয় এটি শরীরের ইনসুলিন
ব্যবস্থাপনা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন যার রক্তের
গ্লোকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে,। যখন আমরা পর্যাপ্ত ঘুম পায় না তখন শরীর
ইনসুলিন ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনা, এর ফলে রক্তের টিনের পরিমাণ বেড়ে যায় যা
টাইপ দুই ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।,। বিশেষজ্ঞদের মতে একটানা
কয়েক রাত পর্যন্ত ঘুম না হলে ইনসুলিন রেজিস্টেস তৈরি হয়্ এর অর্থ শরীর
ইনসুলেন্স এর প্রতিক্রিয়া ঠিকভাবে কাজ করে না ফলে গ্লুকোজ কোষের প্রবেশ না করে
রক্ত জমা হয়। এছাড়াও, ঘুমের অভাব খুদা ও খাবার গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায়।
যা ওজন বাড়িয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরো বাড়ায়।, বিশ্বব্যাপী গবেষণাগুলোতে
বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ঘুম ও রক্তের চিনির মাত্রার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
রয়েছে, তাই বলা যায় ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার মধ্যে ডায়াবেটিসের
আশঙ্কা একটি বড় ভয়াবহ পরিণত মেয়াদের জীবনযাত্রাকে সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দিতে
পারে।
মনোযোগ ও কাজের দক্ষতা কমে
ঘুমের অভাব আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতার সরাসরি প্রভাব ফেলে, ঘুম না হলে মনোযোগ কমে যায়। মাথা ভারী লাগে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জড়তা আসে। এর ফলে প্রতিদিন কাজের গতি ও গুনা মান উভয় কমে যায় বিশেষ করে যারা লেখাপড়া অফিস কাজ বা যেকোনো সংযোগ, নির্ভর কাজে জড়িত। তাদের জন্য এটি মারাত্মক ক্ষতিকর ঘুমে, ঘাটতি ব্রেনের নিউরোন গুলো কার্যকারিতা হ্রাস করে যার ফলে ভুল করা। কথা ভুলে যাওয়া এবং কাজের প্রতি উদাসীনতা বেড়ে যায় তাই ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অভাব প্রভাব হল মনোযোগ ও কাজের দক্ষতা, হ্রাস পাওয়া, ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ03
ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়
সত্য ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।, ঘুমের সময় শরীরের
কোষগুলো মেরামত হয় এবং নতুন করে তৈরি হয়। যা ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখে,
কিন্তু যখন ঘুম ঠিকঠাক ভাবে হয় না তখন এই কোষ পূর্ণ গঠনের প্রক্রিয়ার বাধা
সৃষ্টি হয়, ফলে ত্বক ফেকাসে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।ঘুমের অভাবের মুখে ব্র্ ডার্ক
সার্কেল ফোলা চোখ এবং বয়সজনিত দাগ দেখা দিতে পারে।, এই এছাড়া
কর্টিসল নামক স্টেজ হরমোন বেড়ে গেলে তা ত্বকের প্রদাহ সৃষ্টি করে,। যার
কারণে ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ দেখায় অনেক সময় ত্বক চুলকায় বা লাল হয়ে যায় যা
এলার্জি বা স্কিন ডিজ অর্ডারের দিকে ঠেলে দিতে পারে, বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন
অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা গভীর ঘুম ত্বকে সৌন্দর্য বজায় রাখতে সহায়ক। তাই
রূপচর্চার পাশাপাশি ঘুমও এক ধরনের স্কিন কেয়ার, ফলে ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা
হয় তার মধ্যে একটি বড় সমস্যা হল ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়া যা
আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে ।
হর মনের ভারসাম্য নষ্ট হয়
ঘুম আমাদের শরীরের হরমোনের নিঃসরণ এবং ভার। সাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। বিশেষ করে গ্রাথ হরমোন, ইনসুলন, করটিসল এবং লেপটিন ব্রোলিন নামক হরমোন
গুলোর ঘুমের সময় সঠিকভাবে কাজ করে, কিন্তু যখন ঘুম ঠিক না হয় তখন এসব হরমোনের
কার্যক্রমের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফলে খোদা বেড়ে যায্, অতিরিক্ত খাওয়া শুরু
হয় ওজন বারে এবং দেহের স্টেজ হরমোনের কোটিসনের পরিমাণ বেড়ে যায়। মহিলাদের
ক্ষেত্রে মানসিক চক্র অনিমিত হয়ে যেতে পারে এবং পুরুষদের টেস্ট ও টেস্টোস্ট্রন
হরমোনের হ্রাস পেতে পারে। এইসব পরিবর্তন দেহের স্বাভাবিক ছন্দকে ব্যবহৃত করে এবং
ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা জন্ম দেয়। তাই ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া যা শরীর ও মনের উপরে
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।
সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে নীতিবাচক প্রভাব
ঘুম আমাদের মানসিক স্থিতি,আবেগের নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক আচরণের সরাসরি প্রভাব
ফেলে।,ঘুম ঠিক না হলে মানুষ সহজে বিরক্ত, রাগান্বিত এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে।, এর
ফলে পারিবারিক সম্পর্ক দাম্পত্য জীবন এবং বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের
দূরত্ব তৈরি হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়ার কারণে আত্ম নিয়ন্ত্রণ কমে
যায্.ছোটখাট বিষয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং একজন মানুষ অপরের
প্রতি ধৈর্য হারিয়ে ফেলে।, গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমের ঘাটতি সামাজিক বিচ্ছিন্নতার
প্রবণতা বাড়ায় এবং একাকিত্বের অনুভূতি জাগায়। এছাড়াও্ ক্লান্ত মস্তিষ্ক
আত্মবিশ্বাস চাষ করে যার ফলে কেউ সহজেই নিজেকে অবমূল্যায়ন,পরে এবং সমাজের নিজেকে
নিঃসঙ্গ ভাবতে শুরু করে।। এসব সমস্যা মূলে রয়েছে ঘুমের ঘাটায়, তাই বলা যায় ঘুম
ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় তার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হলো ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও
সামাজিক জীবনে নেতিবাচক পরিবর্তন, যা মানসিক সুস্থতা এবং জীবনের আনন্দ দুটোই
কমিয়ে দেয়।
শেষ কথাঃ
ঘুম হলো জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা শরীর ও মনের। সুস্থতা বজায় রাখতে অপরিহার্য, বর্তমান বাস্তব জীবনযাত্রা অনেকে ঘুমের গুরুত্ব দেন না যার ফলে ধীরে ধীরে নানা শরীরও মানসিক জটিলতা দেখা দেয়।, আমরা এই লেখার বিশেষণ করলাম ঘুম ঠিক না হলে কি সমস্যা হয় এবং দেখলাম এটি কিভাবে আমাদের স্মৃতিশক্তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা্ হৃদ রোগ, ডায়াবেটি্ ত্বকের সৌন্দর্য সামাজিক সম্পর্ক, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক জীবনযাত্রাকে প্রবাহিত করে।। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ছোট ছোট সমস্যা থেকে জন্ম নেয় বড় বড় রোগ ও জটিলতা শুধু ওষুধ বা ব্যায়ামের যথেষ্ট নয়। সঠিক ঘুম ও সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা উচিত।, এক কথায্ ঘুম একটি প্রাকৃতিক ও সহজ উপায়। যা আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই আজ থেকে ঘুমকে গুরুত্ব দিন সুস্থ ও সুখী জীবন জীবনের পথে এগিয়ে যান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url