ঘরোয়া ও কসমেটিক স্ক্রীন কেয়ার
ঘরোয়া স্কিন কেয়ার বনাম কসমেটিক স্কিন কেয়ার আজকের যুগের সৌন্দর্য চর্চা মানেই শুধু প্রসাধনী নয়। বরং প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্ব পাচ্ছে। অনেকেই ঘরোয়া স্কিন কেয়ার ও কসমেটিক স্কিন কেয়ার এর মধ্যে পার্থক্য বোঝা চেষ্টা করেন, কারণ দুটি আলাদা বিশিষ্ট ও উপকারিতা রয়েছে।
অন্যদিকে কসমেটিক স্ক্রীন কেয়ার মানে হল বাজারের পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ, সিরাম, ক্রিম টোনার ইত্যাদি, যা বিজ্ঞাপনের প্রভাবে বেশ জনপ্রিয়।এই ব্লগে আমরা দুই ধরনের স্কিন কেয়ার পদ্ধতি গুণাগুণ পার্থক্য সুবিধা অসুবিধা ও ব্যবহৃত দিকগুলো তুলে ধরব চলুন জেনে নেই ঘরোয়া বনাম কসমেটিক স্কিন কেয়ার কেক জিতবে এই লড়াইয়ে।।
সূচিপত্রঃ ঘরোয়া স্কিন কেয়ার বনাম কসমেটিক স্কিন কেয়ার
- ঘরোয়া ও কসমেটিক্স কেয়ারের স্কিন মিলিত ব্যবহার
- ঘরোয়া স্কিন কেয়ারের মূলনীতি
- কসমেটিক স্কিনকেয়ার এর বৈশিষ্ট্য
- ত্বকের ধরুন অনুযায়ী উপযুক্ত পছন্দ
- ঘরোয়া উপায়ে খরজ ও সহজলভ্যতা
- কসমেটিক প্রোডাক্টর দ্রুত ফলাফল
- ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা
- কসমেটিক্স স্কিন কেয়ার এর ক্ষতি
- ঘরোয়া বনাম কসমেটিক ত্বকের যত্ন
- কোনটা বেছে নিবেন আপনি
- শেষ কথাঃ ঘরোয়া আইসক্রিম কেয়ার বনাম কসমেটিক স্কিন কেয়ার
ঘরোয়া ও কসমেটিক্স কেয়ারের স্কিন মিলিত ব্যবহার
আজকের আধুনিক লাইফস্টাইল ঘরোয়া কসমেটিক স্ক্রীন কেয়ারকে একসাথে ব্যবহার করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। অনেকেই সকালে ব্যবহার করেন যেমন গোলাপজল আবার রাতে বাজারে নাইট ক্রিম। কেউও সপ্তাহে একদিন প্রাকৃতিক উপাদানের শেষ প্যাক দিয়ে থাকেন, আবার বিশেষ দিনে কসমেটিক ব্যবহার করেন।। এতে করে প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকে আবার তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। তবে এর জন্য সঠিক নিয়ম জানা জরুরী। সব উপাদান একসাথে ব্যবহার করলে ত্বকের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই আগে পরীক্ষা করে নেওয়া ও মাঝখানে ব্যবধান রাখা ভালো। যারা ব্যালেন্স স্কিন কেয়ার চান তাদের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে।
ঘরোয়া স্কিন কেয়ারের মূলনীতি
ঘরোয়া স্কিন কেয়ার পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক উপাদান, যা সহজলভ্য এবং সাধারন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হীন। এই ধরনের যত্নের ব্যবহৃত উপকরণ যেমন, কাঁচা দু্ মধু বেসন্ টমেটো শসা এলোভেরা ইত্যাদি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।, ঘরোয়া উপায়ে স্রাব। বাকবা ক্লিনজার তৈরি করা যায় খুব সহজেই এটি সাধারণত রাসায়নিক হীন হওয়ার সেনসিটিভ ত্বকের জন্য উপযুক্ত। প্রাচীনকাল থেকেই নারীরা সৌন্দর্য চর্চার জন্য ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে আসছে,। যা আমাদের ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক জ্ঞানের প্রমাণ। তবে এটি কার্যকর হলেও কিছুটা সময় সাপেক্ষ কে এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয় অনেক সময় সঠিক নিয়ম না জানলেও উল্টো ক্ষতি হতে পারে। তবুও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে, বিশেষ করে যারা লং টাইম রেজাল্ট তাদের কাছে।, তাই ঘরোয়া আইসক্রিম কেয়ার হল একটি নিরাপদ খরচ শাস্ত্রই এবং সহজলভ্যর পদ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে।
কসমেটিক ক্রিস্টিন কেয়ার এর বৈশিষ্ট্য
কসমেটিক স্কিন কেয়ার বলতে বোঝায় বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ড স্কিনের প্রোডাক্ট। যা ক্লিনিক্যাল স্টেট ও ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যা অনুযায়ী তৈরি করে যেমন ড্রাই স্কিনের জন্য ময়েশ্চারাইজার, ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য এন্টি অ্যান্টি অ্যাকনে সিরা,রিস্কেল। কমানোর জন্য অ্যান্টি এজিং ক্রিম ইত্যাদি। এগুলোর প্রধান সুবিধা হল দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় এবং ব্যবহারে সহজ। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাদার পরামর্শ মেনে ব্যবহার করলে এটি ত্বক সৌন্দর্য বাড়াতে কার্যকরী হতে পারে, তবে অনেক কসমেটিক কোন রাসায়নিক প্রভা্ পারফিউম ইত্যাদি থাকে, যা সেনসিটিভ স্কিনের সৃষ্টি হতে পারে।, অনেক সময় ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ব্র্। রিংকেল বা ত্বকের পিকমেন্টেশন বেড়ে যায়। তাই কসমেটিক স্ক্রিন কেয়ার ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন বুঝে প্রোডাক্ট বাছাই করা জরুরী, ব্রান্ড উপাদান ও রিভিউ যাচাই করে নেয়া উচিত।
ত্বকের ধরুন অনুযায়ী উপযুক্ত পছন্দ
ঘরোয়া স্কিন কেয়ার ও কসমেটিক স্ক্রিন কেয়ার দুটির মধ্যে সঠিক পছন্দ নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ত্বকের ধরনের উপরে, শুষ্ক ত্বকের জন্য দু্ মধু অলিভ অয়েল জাতীয় প্রাকৃতিক উপাদান দারুন কার্যকর।, আবার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টমেট্ লেবুর রস তুলসী পাতার রস প্রাকৃতিক টোনারের কাজ করে।, অন্যদিক্ কসমেটিক স্কিন কেয়ার তৈলাক্ত বা শুষ্ক ত্বকের জন্য আলাদা প্রোডাক্ট পাওয়া যায় তবে সেটি ব্র্যান্ড অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে। সমবেদনশীল ত্বকের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি অনেক সময় নিরাপদ হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কসমেটিক ব্যবহার বিপদজনক হতে পারে আবার কেউ কেউ এলার্জি সমস্যার ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে কোন উপাদানই। সাবধানের ব্যবহার করা জরুরী, সুতরাং বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বুদ্ধিমানের কাজ হুট করে কোন নতুন কসমেটিক্স পণ্য বা ঘরোয়া উপাদান মুখে প্রয়োগ না করাই ভালো।
ঘরোয়া উপায়ে খরচ ও সহজলভ্যতা
ঘরো আইসক্রিম কেয়ারের অন্যতম বড় সুবিধা হল এর খরচ অনেক কম। ঘরে রান্না ঘরে থাকা জিনিস দিয়ে রূপচর্চা করা সম্ভব, যেমন বেস্, দুধ মধ্ চিনি পলাই ইত্যাদি সহজলভ্য উপাদান দিয়ে ঘরেই ফ্রেশ প্যাক বা ক্লিনজার বানানো যায়।, এসব উপকরণ বারবার কিনতে হয় না। তাই খরচও বাঁচে। অনেক সময় ফ্রিজে থাকা বাকি ফল বা দই দিয়ে সহজেই স্কিন ট্রিটমেন্ট করা যায়, অন্যদিকে। কসমেটিক স্কিন কেয়ারের পণ্যগুলো তুলনামূলক ব্যয়বহন ভালো ব্র্যান্ডের একটি শ্রীরাম বা ফেস। ক্রিম কিনতে গেলে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে আবার নিয়মিত কিনে ব্যবহার না করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়। তাই যারা সীমিত বাজেটের মধ্যে ত্বকের যত্ন নিতে চান, তাদের জন্য ঘরোয়া আইসক্রিম কি আর একটি উন্নতম বিকল্প। তবে যাদের ব্যস্ততা বেশি এবং সময় কম তারা কসমেটিক পণ্য বেছে নিতে পারেন।
কসমেটিক প্রোডাক্টর দ্রুত ফলাফল
কসমেটিক স্কিন কেয়ারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল দ্রুত ফলাফল।, বাজারের পাওয়া স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টগুলোতে থাকে একটিভ উপাদান, যেমন রেটিনল,নাইয়াসিনেমাইড,হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইত্যাদি যা ত্বকের । গভীরে কাজ করে এবং অল্প সময় পরিবর্তন আনে যেমন ব্রণ প্রবলেম ত্বকের সপ্তাহের মধ্যে, কম ব্রণ দেখা যায়। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে, বিশেষ করে বিশেষ দিন বা বিয়ে সাদির আগের টক সুন্দর করতে দ্রুত ফলাফল দরকার হলে কসমেটিক্স পণ্য অনেকে বেছে নেন। তবে এর বিপরীতে কিছু থাকে, যেমন অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চুলকানি সৃষ্টি। হওয়া ইত্যাদি। তাই ফলাফল দূরত্ব হলেও সচেতন ব্যবহার জরুরী, যারা ত্বকের তাৎক্ষণিক পরিবর্তন চান তারা পেশাদার পরামর্শ নিয়ে কসমেটিক ব্যবহার করতে পারেন।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা
ঘরোয়া স্কিন কেয়ার সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল দেয় কারণে তে ব্যবহৃত উপাদান গুলো ত্বকের গভীরে প্রাকৃতিক ভাবে কাজ করে এবং ধীরে ধীরে ত্বকের সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করে। যেমন নিয়মিত বেসনের ফেসপ্যাক বা দুধের ফেস ওয়াশ ত্বককে ফর্সা ও সমৃদ্ধ করে। ঘরোয়া উপায়ের রাসায়নিক উপাদান। না থাকায় দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না, এটি বিশেষভাবে উপকারী তাদের জন্য। যারা রোজ তার ত্বকের যত্ন নিতে চান ধীরে ধীরে উন্নতি লক্ষ্য নিয়ে তাছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহারের ত্বক স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। তবে এর জন্য। নিয়মই তোতা ও ধৈর্য আবশ্যক, অনেকে ঘরোয়া উপায়ে ফল না পেয়ে হতাশ হয়ে যান কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করলে এর উপকারিতা অসাধারণ।
কসমেটিক্স স্কিন কেয়ার এর ক্ষতি
যদিও কসমেটিক স্কিন কেয়ার দ্রুত ফল দেয়। তবে অনেক সময় তা ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে যেসব প্রোডাক্ট থাকে হাইড্রো উইনন স্টেরয়েড বা অতিরিক্ত পারফিউম, সেগুলো তোকে এলার্জ্ ব্রণ। চুলকানি বাড়ে সৃষ্টি করতে পারে। আবার ভুল ব্রেন বা এক্সপায়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে স্থায়ী দাগও করে যেতে পারে অনেক সময় ত্বকের আসল রং হারিয়ে , এবং এক ধরনের কৃত্রিমর্যলতা দেখা দেয়। যা ক্ষণস্থায়ী নয়, যাদের টক সেনসিটিভ তাদের জন্য কসমেটিক খুব সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিত।
ঘরোয়া বনাম কসমেটিক ত্বকের যত্ন
বিশেষ সময্ উৎসব। ছবি তোলা বা কোন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে আমরা দ্রুত ত্বকের যত্ন করতে চাই এই সময় অনেকে কসমেটিক স্কিন কেয়ার বেছে নেন, কারণ এতে দ্রুত ফর্সা ভাব বা উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়।নানা ধরনের ইনস্ট্যান্টগুলো সিরাম। ফিল অফ মার্কস দ্বারা স্ক্রিন রাইটিং ক্রিম ব্যবহার করে মেকআপ ছাড়াও চেহারা ঝলমলে করা যায়, তবে যারা আগে থেকে ঘরোয়া স্কিন কেয়ার করে থাকেন। তাদের টক এমনিতে সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। তাই বিশেষ দিনে ঘরোয়া উপায় না হলেও আগে থেকে ব্যবহার করলে এটি বেশি কার্যকর হয় তাৎক্ষণিক,। ফল চাইলে কসমেটিক ভালো আর দীর্ঘমেয়াদির সৌন্দর্য চাইলে ঘরা পদ্ধতি উত্তম দুটোকেই প্রয়োজনে মিলে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোনটা বেছে নিবেন আপনি
ঘরোয়া স্কিন কেয়ার ও কসমেটিক স্কিন কেয়ার উভয়ের সুবিধা ও অসুবিধা আছে, আপনি কোনটি বেছে নিবেন তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরণ, সময্ বাজেট ও ব্যক্তিগত পছন্দের উপর। যদি আপনার টক সেনসিটিভ হয়, তাহলে ঘরোয়া উপায় বেশি নিরাপদ। আর আপনি যদি খুব ব্যস্ত থাকেন এবং দ্রুত ফল চান, তাহলে নির্ভরযোগ্য কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভুল প্রডাক্ট বা উপাদান ব্যবহার থেকে বিরত থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ। যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজে এবং নিজের ত্বককে ভালোভাবে বোঝা জরুরি। সৌন্দর্য বাহিক নয়, বরং নিজের প্রতি যত্ন ও ভালোবাসা প্রকাশ।
শেষ কথাঃ ঘরোয়া আইসক্রিম কেয়ার বনাম কসমেটিক স্কিন কেয়ার
সৌন্দর্য চর্চা শুধু বাহিক শোভা নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘরোয়া স্কিন কেয়ার বনাম কসমেটিক স্কিন কেয়ার এই দ্বন্দ্বের নির্দিষ্ট করে কোন একটিকে সেরা বলা কঠিন।কারণ উভয় আলাদা ভূমিকা কার্যকারিতা এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে দীর্ঘ মেয়াদের নিরাপদ ও কম খরচ হলেও, কসমেটিক পণ্য তাৎক্ষণিক ফল দেয়। এবং সময় বাঁচায় তবে অন্ধভাবে কোন পদ্ধতিকে অনুসরণ না করে নিজের ত্বক ধরনের প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়ায় সর্বোওম।, তোকে ভালোবাসা মানে হল সেটা যত্ন নেয়া সঠিক উপায় সঠিক উপাদানে। অতএব্ সচেতন হয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করাই হবে আপনার স্কিন কেয়ার জার্নি শ্রেষ্ঠ পদক্ষেপ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url