জেনে রাখুন রোজ দুধ চা খেলে কি হয়

দুধটা আমাদের দেশে প্রতিদিনের জীবনে অনিন্দ্য অংশ। সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার আগে কিংবা বিকেলের ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ গরম দুধটা যেন সবার প্রিয় সঞী। শুধু স্বাদ নয় চায়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসা তৈরি হয়েছে অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির কারণে চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফে ইন, অ্যান্টিঅক্সাই, এবং দুধের পুষ্টিগুণ একত্রে শরীরের ও মনের উপর বিভিন্ন প্রভাব ফেলে কেউ কেউ মনে করেন দুধটা স্বার্থপর আবার কেউ বলেন এতে শরীরের ক্ষতি হয়।



 আসলে প্রতিদিন দুধ চা খাওয়া কিছু উপকার এবং কিছু ক্ষতিকর দিক দুটোই রয়েছে। দুধ চা শরীরের বিপাক ক্রিয়া হজম রক্তচাপ এবং ঘুমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে তাই এই অভ্যাসটি আমাদের শরীরের কি ধরনের পরিবর্তন আনে।

সূচীপত্রঃ জেনে রাখুন রোজ দুধ চা খেলে কি হয়

সত্যি এবং উদ্দীপনা বাড়ায়

প্রতিদিন দুধ চা খাওয়ার উন্নতম একটি উপকারিতা হল এটি শক্তি এবং উদ্দীপনা বাড়াতে সাহায্য করে।। দুধ চায়ের মূল উপাদান হলো চা পাতা এবং দুধ চা পাতায় থাকে ক্যাফিন নামক একটি উপাদান যা মস্তিষ্কে উদ্দিপনা করে এবং স্নায়ু উত্তেজনা তৈরি করে।। এটি আমাদের মানসিকভাবে রাখে এবং কাজ করার আগ্রহ বাড়ায় বিশেষ করে সকালের প্রথম প্রহরে এক কাপ দু চার ক্লান্তি দূর করে এবং একটি সক্রিয় দিন শুরু করতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে থাকাটিওফিলিয়েন অতিও গ্রমিন নামক উপাদান্য শরীফকে উদ্দীপিত রাখতে সহায়তা করে।

 এসব উপাদান মস্তিষ্ক স্নায়ুর উত্তেজনা তৈরি করে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। দুধের মধ্যে থাকা কঠিন শরীরের শক্তি সরবরাহকরে।ফলে শরীর ও মন দুটোই এক সঙ্গে চাঙ্গা থাকে পড়াশোনা করেন। তাদের জন্য প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুধটা পান করলে তা পরিমিত হওয়া উচিত। দিনে 1 2 কাপ দুধ চা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।

হজমের সমস্যা হতে পারে

প্রতিদিন দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে যদিও এটি অনেকের কাছে এক ধরনের আরামদায়ক পানিও তবে এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে যারা খালি পেটে সকালে দুধ চা পান করেন তাদের জন্য এই সমস্যা আরও গুরুতরও হতে পারে। ও টেনিন নামক উপাদান টেনিন পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে অন্যদিকে খালি পেটে এই অতিরিক্ত অ্যাসিড পাকস্থলীর দেয়ার ক্ষতি করে এবং অম্বল পেট ব্যথা বমি ভাব এমনকি আলসারের ঝুকি তৈরি করে অনেক সময় দুধ এবং চায়ের যৌথ প্রভাবে হজম এনজাইম গুলোর কার্যকারিতা কমে যায়।

 ঢেকর হতে পারে দুধটায় যদি তিনি যোগ করা হয় তবে হজমের সমস্যা ঢুকিয়ে আরো বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি পাকস্থলীতে ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য নষ্ট করে ।যার কারণে হজমের ব্যাঘাত ঘটে এছাড়া কিছু মানুষের থাকে যাদের দুধ খাওয়ার পর পেট ফেপে যায় পেটের গুর গুর শব্দ হয়। বা বমি বমি ভাব হয় ।তারা দুধ চা খেলে সমস্যা আরো বাড়ে হজমের সমস্যা থেকে বাঁচতে দুধ চা খাওয়ার সময় ও পরিমান নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। খালি পেটে দুধটা না খাওয়াই ভালো এবং দিনে একবার দুইবার খাওয়া নিরাপদ চাইলে সকালে হালকা নাস্তার পর চা পান করা যেতে পারে যাতে পাকস্থলীতে সমস্যা না হয় এবং হজম সহায়তা করে।

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে

প্রতিদিন দুইটা খাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো এটি ঘুমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যারা রাতে বা সন্ধ্যার পর যা পান করেন, তাদের ক্ষেত্রে ভ্রুম ব্যাঘাত ঘটাতে সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এর প্রধান কারণ হলো চায়ে থাকা ক্যাফিন নামক উত্তেজক উপাদান যা নায়ক তন্ত্র কে উদ্দীপ্ত করে এবং মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে। ক্যাফিন ঘুমের জন্য দায়ী এডেনোসিন নামক রাসায়নিক কে বাধা দেয় যার ফলে আমাদের ঘুম পেতে বিলম্ব হয়।। এক কাপ দুধ চা খাওয়ার ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত এর প্রভাব শরীলে থাকতে পারে।

ফলে যারা রাতে দুধ চা খেয়ে ঘুমাতে যান, তাদের ঘুম আস্তে দেরি হয় বা গভীর ঘুম হয় না। এতে পরদিন ক্লান্ত মনোযোগের অভাব এবং মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। দুধ চায়ে থাকা অন্যান্য উপাদান যেমন টিও ফিলিন ও থিওগ্রোমিন ও চায় ও মুখের উত্তেজনা করে।.এগুলো হার্ট রেট বাড়তে পারে এবং শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। যা ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে ঘুমাতে না পেরে সোনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন যাদের ঘুমাতে সমস্যা আছে তাদের সন্ধ্যার পর যা বিশেষ করে দুধ চা এড়িয়ে চলা উচিত। বিকেলের পর ক্যাফিন গ্রহণ না করাই ভালো চাইলে বিকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে দুধ চা খাওয়ার সময় ও পরিমাণ বেছে নেওয়া জরুরী মনে রাখা দরকার ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই যেকোনো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সচেতন ভাবে।

ওজন বাড়াতে পারে

প্রতিদিন দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস ওজন বৃদ্ধির একটি অন্যতম গোপন কারণ হতে পারে ।অনেকেই মনে করেন চা খাওয়ার শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং ক্ষুধা কমায় তাই এটি ওজন বাড়ায় না। কিন্তু বাস্তবে দুধ চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি এবং কখনো কখনো বিস্কুট বা অন্যান্য নাস্তা খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে যা ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। দুধ চায়ে দুধো চিনি মিশ্রণের কারণে প্রতি কাপ করে ১০০ থেকে ১৫০ ক্যালোরি থাকে যদি দিনে দুই তিন কাপ চা খাওয়া হয় তবে তা থেকে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৪৫০ ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে।

যা সময়ের সাথে সাথে চর্বি হিসেবে জনপদে পারে । এছাড়া ক্যাপিনের কারণে চা খাওয়ার পর অনেকের খিদে বেড়ে যায়, ফলে তারা বারবার কিছু না কিছু খেয়ে ফেলেন যা ওজন বাড়ায়। আরেকটি দিক হলো অনেকেই চা খাওয়ার সময় কম নড়াচড়া করেন বা বিশ্রামে থাকেন ফলে চায়ের মাধ্যমে পাওয়া অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ না হলে শরীরের জমে যায় বিশেষ করে যারা। একটানা বসে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো বেশি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে দুধ চার পরিমান কমানো তিনি ছাড়া চা খাওয়া অথবা দিনে একবার পান করা ভালো স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে সচেতন না হলে মিষ্টি দুধ যা ধীরে ধীরে আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মন ভালো রাখতে সাহায্য করে 

দুধটা শুধু শরীরকে চাঙ্গা করে না বরং মন ভালো রাখতেও বিশেষভাবে সহায়। হোক চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন এবং প্রিয় গ্রুমিন নামক দুটি উপাদান মস্তিষ্ক সিলগুড হরমোন বা গোপামিন নিঃসরণে শয়তান করে, যা মন মেজাজকে উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। ফলে যা পাঠ করার পর অনেকের মন হালকা অনুভব করেন বিশেষ করে মানসিক চাপ ক্লান্তি বা হতাশা জনিত অবস্থায় একটা মনের ভাব হালকা করে দিতে পারে। চা এর উষ্ণতা গন্ধ এবং সাদা বাদের ইন্দ্র ইয়কের তৃপ্ত করে যা স্ট্রস বা দুশ্চিন্ত কমাতে সাহায্য করে।

 এটি অনেকাংশেই এক ধরনের মানসিক বিশ্রামের মতো কাজ করে। অনেকেই অফিসের কাজে মাঝে মাঝে পড়াশোনার ফাঁকে কিংবা সময় কাটাতে দুধ চা পান করেন।কারণ এটি একা কৃতিত্ব দূর করে এবং মনকে অস্থিতি দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত চা পান করেন তাদের মধ্যে হতাশা বা বিঘ্নতা হার তুলনামূলকভাবে কম ,তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহণের ফলে মানসিকতা হতে পারে ।পরিমিত পরিমাণে চা পান করলে এটি মন ভালো রাখার একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে।

দাঁতের রং পরিবর্তন করে 

দুধ দুধ চা প্রতিদিন খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে দাঁতের রং পরিবর্তন হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো চা পাতা থেকে তৈরি পানিও থাকার টেনিন যা দাঁতের উপরে হলদে বা বাদামি চোখ ফেলতে পারে। ট্রেনিং রাতের এনায়েলের সাথে বিক্রিয়া করে এবং তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। স্থায়ী হয়ে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে। দুধ চা খাওয়ার পরে যদি মুখ ভালোভাবে দোয়া না হয় তাহলে চায়ের রং দাঁতের উপরে জমে থাকে এবং ধীরে ধীরে দাঁত হলদে হয়ে যায়।

 যারা দিনে একাধিকবার যা দুধ চা খান তাদের দাঁতের রং বদলার আশঙ্কা বেশি থাকে। শুধু তাই নয় যদি চায়ে  চিনি মেশানো হয় তবে তা দাঁতের জন্য আরো ক্ষতিকর হতে পারে কারণ তিনি দাঁতের মাঝে আটকে গিয়ে জীবাণুর জন্য সহায়তা করে।এই সমস্যা এড়াতে চাইলে চা খাওয়ার পরে আপনি পানি দিয়ে কুলি করে নেওয়া উচিত এবং দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করা জরুরী। মাঝে মাঝে দাঁতের স্পিলিং করালে দাগ দূর করা সম্ভব। তবে দাঁতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে হলে দুধ চা খাওয়ার পরিমাণ ও সময়ের দিকে খেয়াল রাখা দরকার।

 অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকারিতা কমে যায়

চা পাতায় প্রাকৃতিকভাবে থাকা অ্যান্টি-অক্সাইড বিশেষ বিশেষ করে ক্যাটাচিন্স  শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এগুলা শরীরের মুক্ত র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে। কোষের সুরক্ষা দেয় বার্ধক্য বিলম্বিত করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে কিন্তু যখন এই চায়ের সাথে দুধ মেশানো হয়।তখন আন্টি-অক্সাইড গুলো কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। দুধে থাকা ক্যাফিন নামক প্রোটিন চায়ের অ্যান্টি-অক্সাইড উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে।

এর ফলে অ্যান্টিঅক্সাইড শরীরের সহজে শোষণ করতে পারে না একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দুধ ছাড়া চা পান করলে শরীরের চায়ের সমস্ত উপকারিতা গ্রহণ করতে পারে। যারা চা পান করেন অ্যান্টিঅক্সাইড এর সুবিধার জন্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখা বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো তাদের জন্য দুধ চা বা গ্রিন টি বেশি উপকারী দুধ চা খাওয়া একেবারে ক্ষতিকর না হলেও চায়ের অ্যান্টি-অক্সাইড এর উপকারিতা পেতে চাইলে দুধ দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা অনেক বিশেষজ্ঞ দিনে অন্তত একবার দুধটা পান করার পরামর্শ দেন।

হ্রদরোগের ঝুঁকি

প্রতিদিন দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস অনেক সময় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বিশেষ করে যদি তা মাত্রা অতিরিক্ত হয় এবং অতিরিক্ত চিনি দিয়ে পান করা হয়। দুধ চায়ে থাকা ক্যাফেদের স্পর্শ স্পন্দন বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ সাময়িকভাবে বাড়াতে পারে। নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদ রোগের অন্যতম কারণ। এছাড়া দুধ ও চিনি একত্রে গ্রহণের ফলে শরীরে ট্রাই গ্লিসারিড ও খারাপ এলডিএল কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়তে পারে।

 যা ধবনিকে শুরু করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ প্রবাহিত করে ।হ্রদযন্তে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং হৃদরোগ হার্ট অ্যাটাক বা স্টকের ঝুঁকি বাড়ে বিশেষ করে যারা দিনে ৩-৪ বার চিনি ও দুধ সহ চা পান করেন এবং কোন ব্যায়াম বা ক্যালোরি খরচ এর অভ্যাস নেই তাদের জন্য এই ঝুঁকে আরও বেশি এছাড়াও অতিরিক্ত নায়কের উত্তেজিত করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। জাহাজের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রতিরোধ দুধ চা এর পরিমাণ সীমিত রাখা চিনি কমানো এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস অনুসরণ করা জরুরী। যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের জন্য দিনে এক কাপের বেশি দুধ চা না খাওয়াই ভালো সচেতনতা ও পরিমিত অভ্যাস হৃদয় সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।

অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় 

দুধটা খাওয়ার অনেকের জন্য একটি প্রিয় অভ্যাস, যা ধীরে ধীরে দৈনিক জীবনের পরিহার্য অংশ পরিণত হয়। প্রথমে ১ বা ২ কাপ দিয়ে শুরু হলেও সময়ের সাথে সাথে তাই একাধিকবার খাওয়ার অভ্যাসে রূপ নেয়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ চা না খেলে অনেকের দিন শুরু হয় না। আবার কাজের ফাঁকে ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে কিংবা বিকেলের আড্ডায় চা না হলে যেন কিছুই ঠিকঠাক চলে না।

 চায়ে থাকা ক্যাফিন মস্তিষ্ককে এক ধরনের নির্ভরতা তৈরি করে। নিয়মিত ক্যাফিন গ্রহণে শরীর ও মস্তিষ্ক সেটির অভ্যস্ত হয়ে। পড়ে ফলের নির্দিষ্ট সময়ে চা না পেলে ক্লান্তি মাথাব্যথা মেজাজ খারাপ এমনকি অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এটি চা নির্ভরতার সূত্র এই অভ্যাস যখন বাইরে চলে যায় তখন তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় দিনে তিন চারবার এমনকি খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস শরীরের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সচেতন হওয়া জরুরি অভ্যাস গড়ে তোলা সহজ হলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ কথাঃ

দুটা আমাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু একটি পানীয় নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতি, আবেগ, ও দৈনিক অভ্যাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। সকালে শুরুতে এক কাপ চা যেমন নতুন দিনের অনুপ্রেরণা যোগায়,তেমনি ক্লান্তি বিকালের একটি কাপ চা দিতে পারে মানসিক শান্তি। তবে এই চেনা অভ্যাসের মাঝে লুকিয়ে থাকতে পারে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি যা আমরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না।

 প্রতিদিন দুধ চা খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু-, নীতিবাচক দিক রয়েছে যেমন হজমের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত, দাঁতের রং, পরিবর্তন ওজন বৃদ্ধি হৃদরোগের ঝুঁকি ইত্যাদি। আবার চায়ের অ্যান্টি অক্সাইড এর উপকারিতা ও দুধ মেশালে কমে যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি ধীরে ধীরে এমন এক অভ্যাসে পরিণত হয় যেটি ছাড়া দিন চলতে চায় না। তাই আমাদের উচিত সচেতনভাবে দুধ চা পানের পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং প্রয়োজনে বিকল্প ও স্বাস্থ্যকর চা যেমন গ্রিন টি বা লেবু চায়ের দিকে ঝুকে পড়া। এক বা দুই কাপে চা উপভোগ করুন তবে অতিরিক্ত নির্ভরতা এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে তবে চায় সাত উপভোগ করা সম্ভব এই সহজ সত্যটি মনে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url