শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়


শরীর সুস্থ থাকলে তবেই মানুষের জীবনে প্রতিটি দিক সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারে। এটি সুস্থ শরীর মানেই সক্রিয় শক্তিশালী মন, যা ব্যক্তিকে কাজের প্রতি উদামি করে তোলে এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য অর্জন পথ সুগম করে। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শিক্ষাজীবন কর্মজীবন পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সবকিছুতেই বিরূপ প্রভাব পড়ে। সুস্থ থাকতে হলে শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিক ও সামাজিক দিক থেকে ভারসাম্য বজায় রাখার জরুরী। তাই শরীরের যত্ন নেওয়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া নিয়মিত ব্যায়াম করা

 এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকার মতো বিষয়গুলো আমাদের জীবনে পরিহার্য অংশ হওয়া উচিত। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকের শরীরে যত্ন অবহেলা করে। যার ফলে নানা বিধরোগ ও শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়া এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলোর জানা ও অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিছু উপায়

  • স্বাস্থ্য সচেতনতা
  • সুষম গ্রহন খাদ্য
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • পরিমিত ঘুম
  • পানির প্রয়োজন
  • মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা
  • ধুমপান ও মাদকের ক্ষতি
  • পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
  • স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়া
  • শেষ কথা

স্বাস্থ্য সচেতনতা

স্বাস্থ্য সচেতনতা মানে হলো নিজের শরীর ও মানুষের সুস্থতা সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং সেই অনুযায়ী জীবন যাপন করা। একটি সুস্থ জীবন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপি হল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। অনেকেই জানেন না কিভাবে স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হয় বা কোন অভ্যাসগুলো শরীরের ক্ষতি কর। যেমন পরিষ্কার পরিবেশে বসবাস জান খুব খাওয়া অনামিত অনিয়মিত ঘুম ব্যায়ামের অভ্যাস ইত্যাদি নানা কারণে মানুষের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। সচেতন না হলে এসব ক্ষতিকর অভ্যাস ধীরে ধীরে নানা রোগে জন্ম দেয়। স্বাস্থ্য সচেতনতা মানুষকে ভালোবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে যেমন নিয়মিত ব্যায়াম শোষণ খাদ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং মানসিক স্বাস্থ্য যত্ন নেয়া।

 এছাড়াও ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকা সময়মতো ঘুমানোর স্টেজ কমানো এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাও স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ। স্কুল পরিবার ও সমাজের উচিত শিশুদের ছোটবেলা থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে ।তোলা। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ শুধু নিজেই নয় অন্যদের প্রতিও দায়িত্বশীল থাকে। তাই সমাজের সার্বিক উন্নতির জন্য সকলকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ন। স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ এটা বোঝার জন্য সচেতনতা কোন বিকল্প নেই।

সুষম গ্রহন খাদ্য

জীবনযাপনের জন্য কুসুম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম খাদ্য বলতে এমন একটি খাদ্য তালিকা বোঝায় যেখানে শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী প্রোটিন, কার্বোডাইড, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ, লবণ এবং পানি সঠিক পরিমাণে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দেহের বৃদ্ধি ও পূর্ণ গঠনের সাহায্য করে। অনেকেই খাওয়া-দাওয়া কে শুধু পেট ভরানোর মাধ্যমে মনে করেন কিন্তু পুষ্টি না থাকা খাবার শরীরের উপকারের ক্ষতি করে বেশি। প্রতিদিন খাদ্য তালিকা সবজি ফল ডাল মাছ ডিম দুধ শস্য দানা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা উচত। অতিরিক্ত তেল, চিনি, ও লবণযুক্ত খাবার যেমন জ্যাঙ্ক ফুট বা প্রসেস ফুড যতটা সম্ভব পরিহার্য করা উচিত।। বিশেষ করে শিশু বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য সুষুম খাদ্য আরো বেশি জরুরি। তাদের দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করতে হয়।

 সুষম খাদ্য শুধু শরিক এই নয় মস্তিষ্কেও সক্রিয় রাখে যা শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুললে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। তাই শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন শোষণ খাদ্য গ্রহণ নের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনঃ সুষম গ্রহন খাদ্য

নিয়মিত ব্যায়াম করা

শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে ক্ষারও বেশি মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা বা মাঝারি ধরণের ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো অত্যন্ত উপকারী। ব্যায়ামের মাধ্যমে শুধু শরীর শারীরিকভাবে নয় মানসিকভাবে অনেক উপকার পাওয়া যায় ।এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে এবং বিভিন্নতা দূর করে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ঘুম ভালো হয় মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। এবং কাজের অত্যন্ত তৈরি হয়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ডাইবেটিস রোগের মত নানা জটিল রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব  বর্তমানে মোবাইলে কম্পিউটারে নির্ভর জীবনের পরিচর্যা অভাব প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে না কেন প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে রাখা উচিত।

পরিমিত ঘুম

 সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনের জন্য পরিমিত ঘুম অপরিহার্য।ঘুমের সময় শরীরের কোষ গুলো বিশ্রাম নেয় এবং কুমড়ো জীবিত হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে 6 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর শিশু ও বৃদ্ধির জন্য ঘুমের সময় কিছুটা বেশি হতে পারে। পরিমিত ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয় এবং তাদের কমে যায়। ঘুমের ঘাটতি মস্তিষ্ককে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয় অনেক ক্ষেত্রে এটি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটি্‌ হৃদরো,শরীর সাস্থ্য ভালো রাখার উপায় ভুমিকা সহ ১১ প্যারা লিখে দেনও বিষ্ণু তার কারণ হতে পারে। অপরদিকে অতিরিক্ত ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটি শরীরকে ভালো করে তোলে এবং কর্ম ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাই ঘুম হতে হবে।

 সময় মত ও পরিমিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ঘুমের আগে মোবাইল বা টিভি ব্যবহার কমানো, ক্যাফে। ইন জনিত পানিও এড়িয়ে চলো ভালো ঘুমের জন্য জরুরী সঠিক পরিমিত ঘুম এই তিনটি একসাথে স্বাস্থ্য ভালো রাখার মূল দাবি কাঠি।

আরও পড়ুনঃ  পানির প্রয়োজন

পানির প্রয়োজন

  পানি জীবনের অপরিহার্য পানি আমাদের শরীরের প্রায় সাত ভাগ অংশই পানি দিয়ে গঠিত ।যা দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে আবার হজম পুষ্টির উপাদান বহন করিলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণের পানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ।প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস বা দুই তিন লিটার পানি পান করা উচিত। যদিও কারো কাজের ধরন বয়স ও পরিবেশ অনুযায়ী এই পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। শরীরে পানির অভাব হলে ডিহাইড্রশন হয়, যার ফলে মাথা ঘুরায়, দুর্বলতা,ত্বক সুস্থ হয়ে যায় এমনকি কিডনি সমস্যা হতে পারে। শুদ্ধ পানি পান করাও অত্যন্ত জরুরী কারণ দূষিত পানি পান করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, সহ নানা পানি বাহিত রোগ হতে পারে। শরীরকে সুস্থ সবচেয়ে সবচেয়ে রাখতে হলে নিয়মিত এবং পরিমিত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করা অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা

 শরীরের আশেপাশে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে মানুষ স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করতে পারেনা। কাজে প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং জীবনের প্রতি নীতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে । মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা হতাশা ও বিষণ্যতা আমাদের দৈনিক জীবনে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা দরকার। যেমন নিয়মিত বিশ্রাম, নেওয়া প্রিয় কাজ করা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো। ধ্যান বা মেডিটেশন করা এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলরের  সাহায্য নেওয়া। সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখাও মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি  শুধু শরীরের যত্ন নিলে চলবে না মনের দিক থেকেও নিজেকে ভালো রাখতে হবে একটি সুস্থ মনে পারে সুস্থ শরীরকে পরিচালনা করতে। তাই জীবনের সফল ও সুখী হতে হলে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করা আবশ্যক।

ধুমপান ও মাদকের ক্ষতি

 ধূমপান ও মাদকাসক্তি শরিল ও সমাজের জন্য এক ভয়াবহ বিপদ।এটি ধীরে ধীরে শরীরের ভেতর থেকে ক্ষয় করে দেয়।এবং জীবনের অকাল মৃত্যু ডেকে আনে ধূমপানের নিকোটিন জাতীয় ক্ষতিকর। রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা ফুসফুস, হৃদপিণ্ড, ও রক্তনালীকে মারাত্মক ক্ষতি করে ।এতে ক্যান্সার, হৃদরোগ, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য যেমন গাজা, হেরোই্‌ন, ইয়াবা ইত্যাদি স্নায়ুতন্ত্রকে ধ্বংস করে। যার ফলে ব্যবহারকারী আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির আচরণে অস্থিরতা ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়। শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ মাদকাসক্ত হলে তারা ভবিষ্যৎ নষ্ট করে ফেলে এবং পরিবার সমাজ ও জাতির উপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায় । মাদক ও ধূমপান শুধু ব্যক্তি নয় পরিবার ও সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। তাই এইসবের ক্ষতিকর দিক সমালোচনা সচেতনা বাড়ানোর ।কড়া আইন প্রয়োগ এবং পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া জরুরি। ও উন্নত সমাজ গঠনের জন্য আমাদের সবাইকে ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে এবং অন্যদিকেও রাখতে কাজ করাতে হবে।

পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা

পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা একটি সুস্থ জীবনের অপরিহার্য। অংশ পরিষ্কার পরিবেশ ও শুধু  সৌন্দর্য বাড়ায় না আমাদের সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীর কাপড় চুপড়, খাবার, বাসস্থান এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার না রাখলে জীবাণু ও রোগ ছড়িয়ে পড়ে ।প্রতিদিন গোসল করা হাত ধোয়া, দাঁত ব্রাশ, করা এবং পরিষ্কার জামা কাপড় পর্‌ শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখা ।খাবার খাওয়া আগে ও পরে টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া খুবই জরুরি। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাস্তা বা ডাস্টবিন আবর্জনা ফেলতে হবে। নির্ধারিত জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শিশুদের ছোটবেলা থেকে শেখানো উচিত,যেন তারা স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে বড় হতে পারে। পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করলে ডায়রিয়া,কলেরা,টাইফেড সহ বহু রোগ থেকে বাঁচা যায়।তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিজেকে এবং আশেপাশের পরিবেশকে সবসময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনেক সময়ে শরীরের ভেতরে নানা রোগ লুকিয়ে থাকে, যা শুরুতে বোঝা যায় না নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে সেই রোগগুলোও প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং দ্রুত চিকিৎসা নেয়া যায়। রক্তচাপ।ডায়রিয়া, কোলেস্টেরল,হ্রদরোগ   কিডনি সমস্যার চোখে দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি নির্ধারণ সময় অন্তত পরীক্ষা করা উচিত। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুধু অসুস্থদের জন্য নয় ,সুস্থ মানুষদের জন্য কারণ সবচেয়ে বড় সম্পদ আর তার যত্ন নেওয়া ।আমাদের দায়িত্ব বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ গর্ভবতী নারী শিশুরা এবং যারা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আরো বেশি জরুরী। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং ভবিষ্যৎ এর জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়া

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় , ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা জরুরি। এতে শরীরও মন দুটোই ভালো থাকে। সুস্থ ও আনন্দময় জীবন যাপনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়া অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জেগে ওঠা পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এই সবই ভালো চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা জরুরী। মানুষের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে নিয়মিত প্রার্থনা ধ্যান কিংবা বই পড়া মত শান্তিময় কাজ করা যেতে পারে। বাস্তব জীবনে সময় কাটানো এবং পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের মনোযোগ দেওয়া একমাত্র প্রয়োজন। এসব অভ্যাস বণিক জীবনে ধাপে ধাপে গড়ে তুলতে দিব মেহেদী তা সুস্থ ও সুন্দর জীবনের পথ খুলে দেয়।

আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়া

শেষ কথা

তা তো সম্মত অভ্যাস করা একটি চলমান প্রক্রিয়া এটি একদিনের সম্ভব নয়,  বরং প্রতিদিনই ছোট ছোট ভালো সিদ্ধান্ত ধীরে ধীরে আমাদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করে আমাদের শরীর এবং মন দুটোই যত্নের দাবি করে যেমন শরীরের জন্য দরকার সুসং খাদ্য বিশ্রাম এবং ব্যায়াম তেমনি মনের জন্য দরকার প্রশান্তি আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করা, হালকা ব্যায়াম, করা প্রকৃতির আলোতে কিছুক্ষণ সময় কাটানো এবং স্বাস্থ্যকর নাশকতা করা। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়।

 এসব অভ্যাস আমাদের দিনকে আরো প্রোডাক্টিভ করে তোলে পাশাপাশি একটানা কাজ না করে বিরতি নেওয়া। নিজের পছন্দের কাজ করার সময় রাখা এবং পরিমিত ভুল নিশ্চিত করা জরুরী ।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজের প্রতি সচেতন থাকা এবং নিজের স্বার্থের যত্ন নেওয়া কেই অগ্রধিকার দেওয়া। নিজে সুস্থতা মানে শুধু নিজের উপকার নয় বরং পরিবার ও সমাজের কাছেও তা গুরুত্বপূর্ণ ।তাই আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিদিন একটি ভালবাস গড়ে তুলি যা আমাদের ভবিষ্যৎ কে করবে আরো উজ্জ্বল সুখময়। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url