ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা
ব্যায়াম হলো এমন একটি শারীরিকভাবে কর্ম প্রক্রিয়া যা আমাদের শরীরকে সচল সক্রিয় ও ও সুস্থ রাখে। এটি শুধু ওজন কমানোর জন্য নয় বরং দেহ ও মনে সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং মেটাবলিজম উন্নত হয় ।আজকের এই ব্যস্ত জীবনধারায় যেখানে সবাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে, সেখানে দৈনিক কিছুটা সময় ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ করাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
![]() |
এটি যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে, তেমনই মনকে সরেজ সহ প্রফুল্ল করে। তবে বিয়ান
নিয়ে অতিরিক্ত উদ্দীপনা বা ভুল পদ্ধতিতে চর্চা করলে এটি শরীরের জন্য বিপরীত হতে
পারে। তাই আমাদের উচিত সচেতনতার সঙ্গে ব্যায়াম করা যাতে জীবনের প্রতিদিন আনন্দ
না হয়।
সূচিপত্রঃ ব্যায়াম করার উপকারিতা অপকারিতা
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
- মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন
- হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- দীর্ঘায়ু ও সুস্থ বার্ধক্য
- অতিরিক্ত ব্যায়াম ক্লান্তি ও অবসাদ তৈরি করে
- অনিমেতো ব্যায়ামের মাংসপেশিও হাড়ের ক্ষতি
- হরমোন ও মানসিক ভারসাম্য সমস্যা
- ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
- মানসিক চাপ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা
- শেষ কথা ঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে অন্যতম কার্যকর্ম শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে। ক্যালোরি পড়ে যার শরীরে জমে থাকা চর্বি ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। নিয়মিত দৌড় ,সাইকেলিং, সাঁতার বা দ্রুত হাটা করলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যায় । এতে করে শরীর ঠিক থাকে এবং স্থূলতা জনিত নানা রোগ যেমনঃ ডায়াবেটিস ,উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি থেকে মুক্ত থাকা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যে দৈনিক 30 মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করলে বছরে ৫- কেজি ওজন কমানো সম্ভব। অনেকেই শুধুমাত্র ডায়েট বা খাবার কমিয়ে ওজন কমাতে চান কিন্তু সঠিক ফল পেতে হলে ব্যায়ামে এই সবচেয়ে কার্যকর গ্রন্থা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসার বিশেষ করে বলেন স্বার্থে অন্তত ১৫০ মিনিট আঁধারে ব্যায়াম করলে সুস্থ ও সুষম ওজন ধরে রাখা যায় তাই ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যায়ামকে প্রতিদিন রুটিন অংশ করা উচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন
শরীরের মত মনেরও ব্যায়াম দরকার। শারীরিক ব্যায়ামের ফলে
শরীরে ইন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মন ভালো রাখ। বিষন্নতা,
উদ্রেগ ও স্ট্রেস দূর করতে কার্যকর। বিশেষ করে সকালে খোলা পরিবেশে ব্যায়াম করলে
মন সচেতাকে এবং সারাদিন কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। মানসিক চাপ কমানো ও
আত্মবিশ্বাস ভিত্তিতে দেয়া একটি প্রাকৃতিক ওষুধের মত কাজ করে। ব্যায়াম
শুধুমাত্র চর্বি কমানো না বরং বেশি শক্তি বৃদ্ধি করে ও শরীরকে টোনড করে তোলে ।এটি
দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী ভাবে উন্নয়ন ডাকে এবং পুনরায় ওজন বাড়াতে ঝুঁকি
কমায়।পাশাপাশি এটি খোদা নিয়ন্ত্রণ হরমোন ভারসাম্য এবং মানসিক চাপ ব্রাশের
সহায়ক যা সব মিলে ওজন কমানোর প্রতিক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস
হৃদয় সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টরেল বাড়ায়। নিয়মিত কার্ডিও ব্যায়াম করলে হার্টের কার্যকার বৃদ্ধি পায় এবং হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ উন্নত হয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক করোনারি আর্টারি ডিজেজের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।ব্যায়াম করলে খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা হার্টকে সুরক্ষিত রাখে এছাড়া একটি রক্তের ট্রাই গ্লিসারি ডেট মাত্রা হ্রাস করে। যা হার্ট অ্যাটাক সম্ভাবনা কমায় যারা। দীর্ঘদিন অলস জীবন যাপন করেন তাদের রোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দিব হয়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত। এটি কেবল হাট কেই নয় বরং শরীরের সার্বিক সুস্থতায় এই নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুনঃ হৃদরোগ সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ব্যায়াম শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শ্বেত-রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ে, যার শরীরের ভেতর জীবাণু ,ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর ফলে ঠান্ডা লাগা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ,সাধারণ সংক্রমণ অনেকাংশে কমে যায় অনেক কমে যায়। এমনকি কোভিড-19 মহামারীতে দেখা গেছে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, তাদের ঝুঁকি ছিল অনেক কম। ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়, যা অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও ব্যায়ামের মানসিক চাপ কমায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি আরেকটি বড় উপাদান। দুর্বল করে ফেলে কিন্তু ব্যায়াম তা নিয়ন্ত্রণ রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে ৩-৪ দিনের নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা সাধারণত ঠান্ডা জ্বর বা ক্রমকের কম অসুস্থতা প্রতিরোধের ব্যাংকে প্রতি দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
দীর্ঘায়ু ও সুস্থ বার্ধক্য
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের শক্তি ও কার্যকারিতা কমে যায়। ব্যায়াম এ প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। এটি পেশীর ক্ষয় রোধ করে, হাড় মজবুত রাখে এবং জয়েন্টের নমনীয়তা বজায় রাখে। ফলে বার্ধক্যকালেও মানুষ সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে পারে গবেষণা দেখা গেছে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা করে সাত থেকে আট বছর বেশি জীবিত থাকেন এবং সেই জীবনেও অধিক সুস্থ । বিশেষ করে হালকা ও নিয়মিত ব্যায়াম যেমন হাটা হালকা দোল যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখে হাড় মজবুত রাখে এবং বেশি শক্তি করে রাখতে সহায়তা করে ।এটি বার্ধক্য পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায় ও হারভাঙ্গা সম্ভাবনা হ্রাস করে। এছাড়া ব্যায়াম স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে আলঝেইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো মানসিক রোগ প্রতিরোধের সাহায্য করে।
![]() |
অতিরিক্ত ব্যায়াম ক্লান্তি ও অবসাদ তৈরি করে
বিয়াম সাধারণত শরীর ও মনের জন্য উপকারী হলেও, অতিরিক্ত বা অনিয়মিত ব্যায়াম শরীরের অপসাদ সৃষ্টি হয়। শরীর তখন পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে পেশীর পূর্ণ গঠন বাধা গ্রস্থ হয়। এবং সারাদিন দুর্বলতা, মনোযোগ ঘাটতিও মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরের করোটিসল নাম ক স্টেট হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা শারীরিক শক্তি হ্রাসের পাশাপাশি মানসিক চাপ বাড়ায়।অনেকেই মনে করেন বেশি ব্যায়াম মানেই বেশি উপকার কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কর্মক্ষমতা কমে যায় বিশেষ করে যারা বিশ্রাম না নিয়ে প্রতিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং পরবর্তীতে তা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা রূপ নেয়। তাই ব্যায়ামের পর শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া জরুরি সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন রেস্ট রাখা সুষুম খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত।নয়তো অতিরিক্ত ব্যায়ামের উপকারের পরিবর্তন ক্লান্তি ও অবসাদ দেখে আনবে।
অনিমেতো ব্যায়ামের মাংসপেশিও হাড়ের ক্ষতি
ব্যায়াম যতটা উপকারী ততটাই ক্ষতিকর হতে পারে যদি তা অনেকেই হঠাৎ উৎসাহ
নিয়ে ব্যায়াম শুরু করেন। কিন্তু সঠিক গাইড লাইন বা ফ্রম না মেনে ভারী ও কঠিন
ব্যায়ামে লিপ্ত হন। এর ফলে মাংসপেশিতে টান ফেটে যাওয়া বা ক্র্যাব হওয়ার
সম্ভাবনা বেড়ে যায় আবার অনেক সময় পিট কোমর হাঁটু কিংবা কাঁধের স্থায়ী ব্যথা
দেখা দিতে পারে। অনিয়মিত ভুল পদ্ধতিতে বা প্রশিক্ষণ ছাড়া করা হয়। হার্টের
ক্ষেত্রেও অনিমিত ব্যায়াম মারাত্মক হতে পারে যেমন ভারোত্তোলন বা জিনের হেভি
এক্সারসাইজের ভুল ভঙ্গিমা অনুসরণ করলে হারে চাপ করে এবং ধীরে ধীরে হাড় ক্ষয়
শুরু হয়। বিশেষ করে কিশোর বা বয়স্ক ব্যক্তিরা যদি ডাক্তার বা ফিটনেস এর
ট্রেইনারের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম শুরু করেন তাহলে হাড় ভাঙ্গা ঢুকে থেকে যায়।
অনেক সময় এসব চোট আঘাত তাৎক্ষণিক বোঝা না গেলেও, পরে বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে
পারে। সুস্থভাবে শরীর চর্চা করতে হলে অবশ্যই ধাপে ধাপে ব্যাম শুরু করা উচিত। এবং
প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধায়ক সঠিক পদ্ধতিতে চর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি নাহলে
উপকারের পরিবর্তে অনিয়মিত ব্যায়াম শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
হরমোন ও মানসিক ভারসাম্য সমস্যা
অতিরিক্ত ও নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে শরীরের করোটিসল নামক একটি স্টেজ হরমোনের মাথা বেড়ে যায় । দেহে চাপ তৈরি করে এবং মনের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এর ফলে ঘন ঘন পরিবর্তন দিতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যায়ামের এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গিয়ে ঋতু চক্র অনিয়মিত হয়ে পড়ে।এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্ট্রোস্টেরন হ্রাস পায়,যা ক্লান্তি মন খারাপ ও যৌন স্বাস্থ্য প্রভাব ফেলে। এই হরমোন শৃঙ্খলা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে তা মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও আত্মবিশ্বাস চাষের কারণ হতে পারে তাই সঠিক পরিমাণ ও নিয়ম মেনে ব্যায়াম করার বুদ্ধিমানের কাজ।
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
অতিরিক্ত বা ভুল সময় ব্যায়াম করার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা শরীর ও মনের উপরে নীতি বাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে রাতের বেলায় ভারী এক্সারসাইজ যেমন কার্ডিও জিম বা ওজন তোলার মতো ব্যায়াম করলে শরীররের উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং স্নায়ু তৎপর হয়ে ওঠে ।এই কারণেশরীর ঠান্ডা হতে সময় লাগে এবং ঘুমের বিল্মব ঘটে। শরীরে করটিসল ও এড্রোনালিনের মতে টেস্ট হরমোন নিঃসৃত হয়। যা ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ বা সরকার্ডিয়ান রিদম ব্যবহৃত করে ঘুম ভাঙ্গা বা গভীর ঘুমের প্রবেশের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই মনে করেন রাতের ব্যায়ামের সময় মেলে কিন্তু সঠিক ঘুম ও সুস্থ শরীরের জন্য সন্ধ্যার আগেই হালকা ব্যয়াম করা উত্তম। যারা ঘুমের সমস্যা ভুবেন তাদের জন্য সকালের ব্যায়াম করে সবচেয়ে উপযোগী। তাই ব্যায়ামের সময় নির্বাচন করাটা গুরুত্বপূর্ণ না হলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
মানসিক চাপ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা
যদিও দেয়া মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্তবান নিয়মের বাইরে গেলে
একটি উল্টো ভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় কেউ কেউ ব্যায়ামের
প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ে যে একদিনে ব্যায়াম করতে না পারলে অপরাধবোধ অস্থিরতা
বা রাগ অনুভব করে। এই অবস্থায় এক ধরনের মানসিক আসক্তি বা এক্সট্রায়েল সাইজ
ডিপ্রেশন যা দীর্ঘ মেয়াদে আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা তৈরি করে। এমনকি অনেকের
শরীরে নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা তৈরি করে ফেলেন, যা থেকে দুশ্চিন্তা আত্মবিশ্বাস
হ্রাস ও সোশ্যাল এনগেজাইলিটি দেখা দিতে পারে। ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরচর্চা যদিও
বাধ্যতামূলক অভ্যাসে পরিণত হয়, তবে তা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। এবং নিজে
শরীরের নিয়ে অসন্তুষ্টি ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে করতে পারে। তাই
ব্যায়াম অবশ্যই করা উচিত, তবে তা যেন জীবন যাপনের ভারসাম্য নষ্ট না করে। মানসিক
প্রশান্তি বজায় রাখতে হলে সঠিক পরিমাণে আনন্দ নিয়ে এবং চাপমুক্তভাবে ব্যায়াম
করা শ্রেয়।
শেষ কথা ঃ
ব্যায়াম হলো সুস্থ জীবনধারার এক অবিচ্ছদ্য অংশ। এটি শরীরকে যেমন ফিট রাখে, তেমনি
মনকে করে প্রফুল্ল ও শক্তিশালী।, নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণ
হৃদরোগ প্রতিরোধ মানসিক চাপ হ্রাসযোগ প্রতি রোদ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বার্ধক্য সুস্থ
জীবন উপভোগ করতে পারি। তবে ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্টসীমা ও নিয়ম থাকা
জরুরি, না হলে উপকারের পরিবর্তে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত বা ভুল পদ্ধতিতে ব্যায়াম করলে মাংসপেশী ক্ষয়্ হাড়ের ক্ষতি ঘুমের
ব্যাঘাত,। হরমোনিও ভারসাম্য হীনতা এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে
তাই ব্যায়াম করতে হবে নিজের শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সুষুম
খাদ্যের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে। একটি কথা মনে রাখা জরুরি, স্বাস্থ্য একটি সম্পদ আর
সেই সম্পদ রক্ষার জন্য ব্যায়াম একটি চাবিকাঠি। তবে সেই চাবিকাঠি যেন ভুল ভাবে
ব্যবহার না হয়, যেদিন। সেদিন কে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে সচেতন ভাবে আনন্দ নিয়ে
এবং নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে আমরা পেতে পারি এক সুস্থ সুন্দর ও দীর্ঘজীবন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url