মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

বর্তমান যুগে নারীদের জন্য ঘরে বসে আয় করার সুযোগ অনেক বেড়েছে। শুধুমাত্র পরিবারের দেখাশোনা নয়, নিজের দক্ষতা ও মেধা কাজে লাগে ঘরে বসেই একজন নারী মাসে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।প্রযুক্তি অগ্রগতিতে এবং ইন্টারনেট সহ সহজল ভ্যতার কারণে আজ নারীদের জন্য বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইনের পথ উপযুক্ত হয়েছে ।তৈরি করতে পারেন এবং তার জন্য কি ধরনের স্কিল বা প্লাটফর্ম দরকার হতে পারে।



বিশেষ করে প্রবীনদের দেখাশোনা করেন অথবা বাহিরে কাজ করার সুযোগ নেই তাদের জন্য ঘরে বসে আয় করার মাধ্যমে একটি জীবন পরিবর্তন সিদ্ধান্ত হতে পার্‌ এই লেখায় আমরা জানবো কিভাবে একজন নারী দক্ষতা অনুযায়ী আয়ের পথ বেছে নিতে পারেন।

সূচিপত্রঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার কিছু উপায়

নারীদের জন্য অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে নারী ঘরে বসে বিভিন্ন। ক্লায়েন্টের এর কাছে থেকে কাজ নিয়ে উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনি লেখা লিখি ডিজাইন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি ট্রান্সক্রিপশন বা ভার্চুয়াল এসিড কাজ জানেন তাহলে fiverr upwork বা freelancer . ডট কমে একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন. এখানে প্রতিটি প্রজেক্ট এর শেষ করার পর পেমেন্ট পাওয়া যায়। কাজে। মন ভালো হলে ক্লাইন রিডিং ও রিভিউ দেয় যা ভবিষ্যতে আরও বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় একজন নারী ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ঘরে বসে কয়েক ঘণ্টা কাজ করলেও মাসে ২০ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।

অনলাইন টিউশন

অনেক নারী পড়াশুনা ভালো থাকেন কিন্তু শিক্ষকতা পেশায় যেতে পারেন না পরিবারের দায়িত্বের কারণে। তাদের জন্য অনলাইনে টিউশন একটি চমৎকার আয়ের উপায়। zoo Google,meet,massengar বা skype এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যায়। আপনি চাইলে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী বা বিশেষ নিয়মিত ক্লাস নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম যেমন টেন মিনিট স্কুল শিখক। দেও অনলাইনে টিচার হিসেবে নিবন্ধন করা যায় একজন শিক্ষক দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ক্লাস করালেও মাসে 15 থেকে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করাতে পারেন এতে নিজের জ্ঞান কাজে লাগানো যায় এবং শিক্ষার্থীদেরও উপকার হয়।

আরও পড়ুনঃ01

ইউটিউব ভিডিও বানানো আয়

আপনি যদি রান্না মেকআপ হস্তশিল্পী ইসলামিক আলোচনা সহ যেকোনো বিষয়ে ভালো জানেন। তাহলে youtube একটি দারুণ প্লাটফর্ম একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করার করলে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের সাবস্ক্রাইবার ও ঘন্টা পূর্ণ হলে গুগল। এডসেন্স থেকে ইনকাম শুরু হ... অনেক নারী এখন ঘরে বসে ভিডিও তৈরি করে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন শুধু তাই নয়, স্পন্সারশি্‌ প্রমোশন ও ব্র্যান্ড। ডিলের মাধ্যমেও আয় হয় সঠিক এসিও ও নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট এর মাধ্যমে ইউটিউব কেউ আপনি একটি ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন

ঘরে বসে কনটেন্ট রাইটিং

 যারা লেখালেখি ভালবাসে্‌ তাদের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং একটি লাভজনক পেশা, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লগ নিউজ পোর্টাল বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি গুলো নিয়মিত কন্টেন লেখার জন্য ফ্রিল্যান্স লেখক খুঁজেন।। এসিও অনুযায়ী কন্টেন্ট লিখতে পারলে ভালো রেড পাওয়া যায়। একজন নারী ঘরে বসে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি লিখে মাসে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। শু... বাংলা নয় ইংরেজিতে কনটেন্ট লিখে আন্তর্জাতিক মার্কেট আরও বেশি আয় সম্ভব ফেসবুক বা linkedln এ নিজের প্রোফাইল তৈরি করে ক্লাইন খোঁজা যেতে পারে।

রান্না সখ নয় আয় এর পথ

অনেক নারী ঘরে রান্না করতে ভালোবাসেন। এখন সেই দক্ষতাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। ঘরে করে। বিস্কিট, পিঠা, হালিম, বিরানি ইত্যাদি তৈরি করে অর্ডার অনুযায়ী বিক্রি করা যায়। ফেসবুক পেজ খুলে। খুব সহজ পাশাপাশি খাবার ডেলিভারি অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে। কোন বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। একজন নারী দিনে মাত্র তিন থেকে চার ঘন্টা রান্না করলেই মাসে ১৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে অনেক বেশি আয় করতে পারেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে পারেন তারা আরো বেশি জনপ্রিয় হন।

আরও পড়ুনঃ02

হ্যান্ড মেড প্রোডাক্ট বিক্রি

হস্তশিল্প এমব্রয়ডার্‌ কাস্টোমাইজ গিফট কুশন কভার শোপিস তৈরি বা ক্রোশেট, কাজের প্রতি নারীদের আগ্রহ প্রচুর এসব কাজ করে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বা অনলাইনে মার্কেট। প্লেসে বিক্রি করা যা্য। অনেক নারী শুধু এই পেশায় নিয়োজিত থেকে লাখ লাখ টাকা ব্যবসা করছেন। । এমনকি ইউ টিউব বা ইন্টারেস্ট দেখে নতুন ডিজাইন শেখাও সম্ভব। নিজের কাজের ছবি পেইজে আপলোড করে অর্ডার নেওয়া যায় অল্প খরচে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় পরিসরে ব্যবসা চালানো যায়।

নারীদের বুটিক ব্যবসা

যদি ফ্যাশন ডিজাইন বা সেলাই জানেন। তাহলে ঘরে বসে নিজেই বুটিক ব্যবসা শুরু করা খুবই সহজ। নিজের ডিজাইন করা থ্রি পিস শাড়ি বাচ্চাদের পোশাক গহনা বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজ খোলা। প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি করা ও কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।। অনেক নারী শুধু এই পেশায় নিয়মিত থেকে লাখ টাকা ব্যবসা করছেন। এমনকি ইউটিউব বা ইন্টারেস্ট দেখে নতুন ডিজাইন শেখাও সম্ভব। নিজের কাজের ছবি পেজে আপলোড করে অর্ডার নেওয়া যায়। অল্প খরচে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় পরিসরে ব্যবসা চালানো যায়।

আরও পড়ুনঃ03

রেফার করে আয়

বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং নারীদের জন্য একটি দারুণ আয়ের উৎস। এর মধ্যেই আপনি কোন পণ্য বা সেবা লিংক শেয়ার করে সেই লিংক থেকে ভিত্তিতে কমিশন পেতে পারেন।যেমন daraz amazon clikbank ,bkash, কিংবা অন্যান্য অনলাইন কোম্পানির এফিলিয়তের. প্রোগ্রামের যোগ দিয়ে আয় করা যায়। যদি আপনার একটি ব্লগ ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি ভাল ফেসবুক পেজ থাকে. তাহলে আপনি সহজেই অনেক ভিউয়ার্স বা ফলোয়ারদের কাছে প্রোডাক্ট রেকমেন্ড করতে পারেন বিক্রি হলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ লাভ করবেন. আপনি চাইলে ফেসবুক গ্রুপ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট আয়ে কোন ইনভেন্টেনমেন্ট না থাকায় এটি নারীর জন্য নিরাপদ একটি পথ।

ঘরে বসে ফেসবুক মার্কেটিং

অনেক প্রতিষ্ঠান। বা ছোট ব্যবসা ফেসবুক পেজ পরিচালনার দক্ষ দক্ষ নারী ম্যানেজার খোঁজে্‌।। আপনি চাইলে তাদের পেজের কনটেন্ট পোস্ট করা কনটেন্ট উত্তর দেয়া ইনবক্সে রিপ্লাই করা এবং ফেসবুক চালানোর জন্য কাজ করতে পারেন এটি ফেসবুক মার্কেটিং নামে পরিচিত।। এছাড়াও নিজের একটি পেজ খুলে অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রি করেও উপার্জন সম্ভব আপনি ক্যানভা বা ফটোশপ দিয়ে পোস্ট ডিজাইন শিখলে আরো ভালো রেজাল্ট পেতে পার... একজন নারী দিনে ২-৩ ঘণ্টা সময় দিয়ে এই কাজ করে। পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন এতে সময় অল্প স্বল্পতা ও আয় সম্ভব হয়।

নারীদের ট্রাফিক ডিজাইনের কাজ

গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি দক্ষতা যেটা একবার শিখে নিলে আজীবন কাজে লাগে। আপনি adode illustrator,photoshop,বা canva ব্যবহার করে লোগো ফেসবুক, কভার ইনস্টাগ্রাম, পোস্ট মেনু, ডিজাইন প্রিন্টার ডিজাইন ইত্যাদি করতে পারেন। fiverr,upwork এর মতে. মার্কেটপ্লেসে এই স্কেল প্রচুর চাহিদা আছে। এক একটি ডিজাইনের মূল্য ৫ ডলার থেকে শুরু হয়ে শত ডলারেও পৌঁছাতে পারে এক মাসে 8 থেকে 10 টি ডিজাইন করেও ভালো ইনকামের সম্ভব অনেক নারী গ্রাফিক ডিজাইন শিখে বর্তমানে ঘরে বসে আন্তর্জাতিক ক্লাইন্টের সাথে কাজ করছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে সামলম্বী হচ্ছে। অনলাইনের কোর্সের মাধ্যমে সহজেই দক্ষতা অর্জন করা যায়।

শেষ কথাঃ নারীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা

নারীরা চাইলে ঘরে বসেই পরিবারের সামলাতে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে পারেন শুধু ইচ্ছা থাকলেই হবে না, সঙ্গে থাকতে হবে অর্ধবসায়, সঠিক পরিকল্পনা এবং নিজেকে প্রতিনিয়ত দক্ষ করে তোলার প্রচেষ্টা।, আজকে ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ অনেক। শুধু আপনাদেরকে সেই সুযোগটি খুঁজে নিতে হবে এবং ধৈর্য সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। ছোট পরিসরে শুরু করলে ধীরে ধীরে এটি একটি বড় আয়ের উৎস গড়ে তোলা সম্ভব। আপনাদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে পারে সব গল্প নারীরা ঘরে থেকেও বিশ্ব জয় করতে পারেন। যদি তারা নিজের উপর বিশ্বাস রাখে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url