আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬

এখানে দেশি বিদেশি পণ্যের প্রদর্শনী হবে।উদ্যোক্তারা তাদের উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন।দর্শনার্থীরা এক জায়গায় শত দেশের পণ্য দেখতে পাবেন।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এটি বড় প্রভাব ফেলবে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ অনুষ্ঠিত হবে পূর্বাচলে।দেশি-বিদেশি পণ্যের বিশাল প্রদর্শনী হবে এখানে।উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এই মেলা।দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশ।বাংলাদেশের বাণিজ্যে আনবে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত।

সূচিপত্রঃআন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য আয়োজন হতে যাচ্ছে। প্রতিবছরের মতো এবারও এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর পূর্বাচলে। দেশি ও বিদেশি শতাধিক প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, এটি ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির মিলনমেলা। এখানে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ পান। ক্রেতারা মানসম্মত পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনার সুযোগ পায়।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ইতিহাস

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ এই ধারাবাহিকতারই অংশ, তবে এবার এটি হবে আরও বড় পরিসরে। পূর্বাচলের স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে আধুনিক অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীদের জন্য সুবিধা আরও বাড়বে।

আরও পড়ুনঃঅনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

২০২৬ সালের মেলার সময়সূচি ও স্থান

২০২৬ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এবং চলবে পুরো মাসজুড়ে। স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে রাজধানীর পূর্বাচল, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। এই মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পার্কিং, ফুড কোর্ট, বিশ্রামাগার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠান

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ এ প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া সহ নানা দেশের পণ্য প্রদর্শিত হবে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডও নতুন প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের প্রদর্শনী করবে। এতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পথ আরও প্রশস্ত হবে।

দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুযোগ ও সম্ভাবনা

এই মেলা দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। তারা তাদের পণ্য স্থানীয় ও বিদেশি ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ অনেক তরুণ উদ্যোক্তার প্রথম আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এনে দেবে। এখানে নতুন ব্যবসায়িক যোগাযোগ তৈরি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

আরও পড়ুনঃকোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়

প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও নতুন পণ্যের প্রদর্শনী

২০২৬ সালের মেলায় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন হবে প্রধান আকর্ষণ। আইটি, ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল পেমেন্ট, সৌরশক্তি ও পরিবেশবান্ধব পণ্য থাকবে প্রদর্শনীতে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ এ স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চিত্র দেখা যাবে। নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তারা তাদের স্টার্টআপ প্রকল্প তুলে ধরবে দর্শনার্থীদের সামনে।

দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ

মেলায় শুধুমাত্র পণ্য কেনাবেচা নয়, বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে। থাকবে শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, খাবারের স্টল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লাইভ শো। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ এর অন্যতম আকর্ষণ হবে দেশি বিদেশি খাবারের স্বাদ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পার্কিং ও গাইডলাইন আগের চেয়ে উন্নত করা হবে।

আরও পড়ুনঃকোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

নিরাপত্তা, টিকিট ও যাতায়াত ব্যবস্থা

প্রতিবছরের মতো এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম, সিসি ক্যামেরা ও মেডিকেল টিম। টিকিট কেনা যাবে অনলাইনে ও সরাসরি গেট থেকে। “আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬”-এর জন্য থাকবে বাস ও শাটল সার্ভিস, যাতে দর্শনার্থীরা সহজে যাতায়াত করতে পারেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মেলার প্রভাব

বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, দেশীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি এবং নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করে। “আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬” দেশের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করার এক বড় মাধ্যম হবে।

শেষ কথাঃআন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ শুধু পণ্যের প্রদর্শনী নয়, এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রতীক। এই মেলার মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে বাণিজ্যে স্বনির্ভর ও উদ্ভাবনী শক্তিতে এগিয়ে এই আশাই জাগায় মেলাটি।

সচরাচর প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৬ কবে শুরু হবে?

উত্তর:টি শুরু হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

প্রশ্ন ২: মেলার স্থান কোথায়?

উত্তর: ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশ্ন ৩:মেলায় কোন কোন দেশ অংশ নিচ্ছে?

উত্তর:ভারত, চীন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কোরিয়া সহ প্রায় ৫০টি দেশ অংশ নেবে।

প্রশ্ন ৪:মেলায় প্রবেশমূল্য কত?

উত্তর: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা, শিশুদের জন্য ২৫ টাকা হতে পারে।

প্রশ্ন ৫: টিকিট কি অনলাইনে পাওয়া যাবে?

উত্তর:হ্যাঁ, অনলাইন ও গেটে উভয়ভাবে টিকিট পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন ৬:মেলায় কী ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হয়?

উত্তর:পোশাক, হস্তশিল্প, ইলেকট্রনিক্স, প্রযুক্তি, কৃষিপণ্যসহ নানা সামগ্রী।

প্রশ্ন ৭: মেলায় খাবারের ব্যবস্থা আছে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, দেশি-বিদেশি খাবারের জন্য আলাদা ফুড কর্নার থাকবে।

প্রশ্ন ৮: মেলার সময়সূচি কী হবে?

উত্তর: প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

প্রশ্ন ৯: উদ্যোক্তারা কীভাবে অংশ নিতে পারেন?

উত্তর:রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে আবেদন করে স্টল বরাদ্দ নিতে পারবেন।

প্রশ্ন ১০:মেলার উদ্দেশ্য কী?

উত্তরঃদেশীয় পণ্যকে বিশ্ববাজারে পরিচিত করা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url