ঘরোয়া রুপচর্চার ১০ টি সহজ পদ্ধতি

ঘরোয়া রূপচর্চা দিয়ে ত্বক চুল ঠোট নখের যত্ন নিন প্রাকৃতিক উপায়ে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া। এই ব্লগে জানুন ১০ টি সহজ ও কার্যকর রূপচর্চা পদ্ধতি যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। ঘরোয়া রূপচর্চা মানে প্রাকৃতিক উপায়ে নিজের যত্ন নেয়া। ত্বক,চুল, ছোট নখের পরিচর্যা ঘরোয়া উপাদান খুবই কার্যকর।

বেসন, দই, মধু ,লেবু, এবং অ্যালোভেরার মতো উপাদান সহজে সৌন্দর্য বাড়ায়। এই ব্লক এ রয়েছে দশটি প্রমাণিত ঘরোয়া রূপচর্চা পদ্ধতি প্রতিদিনের রূপচর্চা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যের সমাধান পেতে করুন বিস্তারিত।

সূচিপত্রঃ ঘরোয়া রূপচর্চা

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া রুপচর্চা ব্যবহারের গুরুত্ব

ঘরোয়া রূপচর্চা সবচেয়ে বড় সুবিধা হল প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার। আমাদের রান্না ঘরে থাকা উপাদান যেমন দই,বেসন,মধু, হলুদ, নারিকেল, তেল এগুলো রূপচর্চার জন্য অসাধারণ। এই সব উপাদান কোন ধরনের কেমিক্যাল না থাকায় ত্বকের প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অনেক প্রসাধনের দীর্ঘদিন ব্যবহারে দেখা যায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায্‌ ব্রণ বা খুশখুরি দেখা দেয়। কিন্তু ঘরোয়া রূপচর্চা নিয়মিত করলে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে, তখন উজ্জ্বল ও কোমল। তাই আপনি যদি স্বাস্থ্যকর রূপচর্চার পথ খুঁজে থাকেন, তাহলে ঘরোয়া রূপচর্চা হতে পারে আপনার জন্য সেরা সমাধান। প্রাকৃতিক উপায়ে নিজের যত্ন নেওয়া যেমন সাশ্রয়ী তেমন দীর্ঘস্থায়ী ফলপ্রসূ।

ত্বকের যত্নে ঘরোয়া ফেসপ্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো ঘরোয়ার রূপচর্চা পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক অনেক কার্যকর। দই ও বেসনের প্যাক ত্বকের মৃদু কোষ দূর করে এবং উজ্জ্বলতা আনে। মধু ও লেবুর মিশ্রণ ত্বককে প্রাকৃতিক গুলো এনে দেয় এবং দাঁত সব হালকা করে। সপ্তাহে দুই বার এ ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকে হয় নির্দেশন ও দীপ্তময়। অ্যালোভেরা জেল, চন্দন গুড়া, হলুদ খুব ভালো প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের ট্রিটমেন্টেশন কমায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ও শুষ্ক উভয় ত্বকের ঘরোয়া উপায় দিয়ে যত্ন নেওয়া যায়। সহজেই আপনি যদি দামি প্রসাধনের পরিবর্তনে নিরাপদ ও টেকসই সমাধান চান, তবে ঘরোয়া রূপচর্চা আপনার জন্য সঠিক পথ।

ব্রণের সমস্যা ও সমাধান

ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের মধ্যে। তবে ঘরোয়া রূপচর্চার মাধ্যমে খুব সহজেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হলুদ মধু মিশ্রণের ব্রণের জীবাণু নাচ করে এবং দাগ হালকা ক... অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের ব্রণে লাল ভাব কমে এবং ঠান্ডা অনুভুতি দেয়। পাতিলেবুর রস। ও টক দই ব্রণ উৎপাদক তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এসব উপাদান প্রতিদিন ব্যবহার না করলেও সপ্তাহে দুই তিন নিয়ম করে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বাজারের কেমিক্যাল মুক্ত ওষুধ বা ক্রিমের বদলে এই ঘরোয়া রূপচর্চা অনেক বেশি নিরাপদ। তাই ব্রনের সমস্যা করলে প্রথম ঘরোয়া সমাধানের চেষ্টা করায় বুদ্ধিমানের কাজ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া স্থায়ী উপকার পাওয়া সম্ভব।

চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান

তুলে সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরোয়া রূপচর্চা খুবই কার্যকর। নারিকেল তেল, আমলকি তেল ও কালোজিরার তেল দিয়ে নিয়মিত চুলে মেসেজ করলে টুল হয় মজবুত ও ঝলমলে। হেয়ারমাক্স চুল প্রোটিনের যোগায় এবং খুশকি দূর করে। এলোভেরা জেল চুলের গজায় পুষ্টি যোগায় এবং চুল পড়া কমায়। অনেকে চুল নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করেন, যা চুলের স্বাভাবিক সুন্দর সৌন্দর্য নষ্ট করে। তবে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিলে চুল থাকে স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলের জন্য বিশেষ ঘরোয়া যত্ন নিলে চুল গঠন দৃঢ় এবং আগা ফাটা বন্ধ হয়। প্রাকৃতিক উপায় দানের মাধ্যমে চুল যত্ন ঘরোয়া রূপচর্চা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রথা পন্থা।

হাত পায়ের যত্নের ঘরোয়া পদ্ধতি

হাত ও পায়ের ত্বক ও নিয়মিত যত্নের দাবিদার। ধুলাবালি ও রোদের এই অংশের দ্রুত কালচে ভাব পরে। ঘরোয়া রূপচর্চার মাধ্যমে সহজে এটি প্রতিরোধ করা যায়। লেবু ও চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে মৃত চামড়া দূর হয় এবং উজ্জ্বলতা ফিরে।। বেসনো দুধের মিশ্রণ হাত-পায়ে কালো দাগ হালকা করে। রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বক হয় কোমল ও মিসূণ। বা সুন্দর ডাক্তারের সপ্তাহে একদিন গরম পানিতে লবন ও লেবু মিশে পা ভিজে রাখলে ভালো ফল মেলে। এসব ঘরোয়া রূপচর্চা নিয়মিত করলে বাড়তি কোন খরচ ছাড়াই নিজের নিজেকে সৌন্দর্য রাখা যায়।ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপায়ে সব সময় বেশি কার্যকর।

ঠোঁটের যত্নে ঘরোয়া সমাধান

ঠোঁট ফাটা, কালচে ঠোঁট অনেকেরই অস্বস্তি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ঘরোয়া রূপচর্চার মাধ্যমে ঠোটের ও সমস্যা সহজে সমাধান করা যায়। ঘি বা নারিকেল তেল লাগিয়ে ঠোঁট নরম থাকে ও ফাটা দূর হয়।রাতে ঘুমানোর আগে মধু লাগানোর ভালো অভ্যাস। এছাড়া তিনি ও অলিভ অয়েল মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট ঘষে নিলে মৃত কোষ ঝরে পড়ে ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফেরে। বাজারের লিপবাম সবসময় নিরাপদ নয়, বরং ঘরোয়া সমাধানে ভালো ফল পাওয়া যায়। নিয়মিত ভাষায় গোলাপি ও কমল। তাই ঠোঁটের যত্নে ঘরোয়া রূপচর্চা শুধু সহজ নয়, বরং সবচেয়ে উপকারী বটে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা

চোখের নিচে ডার্ট সার্কেল এখন অনেকেরই সমস্যা। ঘুমের অভাব, ক্লান্ত্‌ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণ।। তবে ঘরোয়া রূপচর্চা পদ্ধতিতে সহজেই এটি দূর করা যায় ঠান্ডা কাচা দুধ, শসা পাতলা পাতলা করে কেটে চোখের উপরে রাখলে চোখের ক্লান্তি দূর হয়। ঠান্ডা করে ১০ মিনিট চোখে রাখলে ডার্ট সার্কেল কমে। আলুর রসেও রয়েছে প্রকৃতির ব্লিচিং উপাদান, যা চোখের নিচের কালো দাগ হালকা করে।। এসব ঘরোয়া উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলে কোন কেমিক্যাল ছাড়াই চোখে চারপাশ ও উজ্জ্বল রাখা সম্ভব। ডার্ক সার্কেল নিয়ে চিন্তিত না হয়ে প্রাকৃতিক ঘরোয়া রূপচর্চা শুরু করুন আজই।

ত্বকের টান দূর করতে

রোদের প্রভাবে ত্বকের টান পড়ে,। যা দেখতে অসুন্দর লাগে ঘরোয়া রূপচর্চার মাধ্যমে এই টান সহজে দূর করা যায়। টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগালে টান দূরত্ব হালকা হয়। বেসন হলুদ ও দুধের প্যাকেট ত্বক উজ্জ্বল করে। রোদে বাইরে যাওয়ার আগে ইসক্রাফ বা সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি বাইরে থেকে ফিরে ঘরোয়া স্কাপ ব্যবহার করে খুব কার্যকর নিয়মিত এই যত্ন নিলে ত্বক রোদের পোড়া প্রভাব থাকে না। বাজারের, ট্যান রিমুভার যতটা দামি, ততটা কার্যকর নাও হতে পারে। তাই ঘরোয়া রূপচর্চা এখানে স্বাস্থ্য ও কার্যকর একটি পদ্ধতি।

ত্বক মসূণ চিহ্ন ও কোমল রাখতে

ত্বক সুন্দর হলে আত্মবিশ্বাস ও বাড়ে। ঘরোয়া রূপচর্চার দিয়ে ত্বককে সমূণ ও কমল রাখার সম্ভব খুব সহজে। দুধ মধু মিশ্রণে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা যোগায়। বেসন ও অলিভয়েলের প্যাকেট ত্বকের রক্ষতা দূর করে। বিশেষ করে শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, তখন এসব উপাদান দিয়ে যত্ন নিলে ত্বক কোমল থাকে। প্রতিদিন ১০ মিনিট ঘরোয়া রূপচর্চার সময় ও অর্থ দুই সাশ্রয় করে। দোকানের দামি লোশনবার ক্রিমের পরিবর্তন পরিবর্তে ঘরোয়া উপায় বেশি কার্যকার ও নিরাপদ। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে ঘরোয়া রূপচর্চায় সেরা বিকল্প।

নখের যত্নে প্রাকৃতিক পদ্ধতি

অনেকেই নখের যত্ন নিতে ভুলে যান, কিন্তু এটি সুন্দর যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘরোয়া রূপচর্চা নখের যত্ন নেওয়া খুবই সহজ। অলিভ অয়েল বা নারকেলের তেলে নক মেসেজ করলে নখ শক্ত ও চকচকে হয়।লেবুর রস দিয়ে নখে ঘষলে দাগ দূর হয় ও উজ্জলতা বাড়ে।গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নখ ডুবিয়ে রাখলে পরিস্কার ও জীবণুমুক্ত থাকে।সপ্তাহে একদিন এই যত্ন নিলে নখ থাকবে স্বাস্থ্যবান ও আকর্ষণীয়।বাজারের নেইল পলিশ বা রিমুভার ব্যবহার না করে ঘরোয়া রুপচর্চা  অবল্বন করুন।

শেষ কথাঃঘরোয়া রুপচর্চা

শুধু ত্বক বা চুলের স  বাড়ানোর জন্য নয়,বরং এটি আমাদের স্বাস্থ্যর প্রতিও যত্নবান হতে শেখায়। বাজারের কেমিকেলযুক্ত প্রসাধীর চেয়ে প্রাকূতিক উপাদান দিয়ে রুপচর্চা করা অনেক বেশি নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী ফল দেয়।নিয়মিত ঘরোয়া পদ্ধতি অনসরণ করলে রুপের পাশাপাশি মনও থাকে সতেজ ও প্রশান্ত।যেমন সপ্তাহে একদিনে দই ও বেসনের প্যাক,রাতে মধু দিয়ে ত্বকের যত্ন বা নারিকেল তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো অনেক বড় প্রভাস ফেলে।সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।সবচেয়ে বড় বিষয় হলো,ঘরোয়া রুপচর্চা আমাদের নিজেস্ব সংস্কূতি ও প্রাকূতিক উপকরণের উপর নির্ভর করে,যা আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।তাই প্রতিদিনের রুপচর্চা প্রাকূতিক এ ঘরোরা উপায় বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানে কাজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url