শাপলা ফুলের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের প্রকৃতি যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি তার প্রতিটি প্রতীকেও লুকিয়ে আছে একটি করে গল্প। তেমনই এক অনন্য প্রতীক হলো শাপলা ফুল, যা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হিসেবেও স্বীকৃত। কোমল, সুন্দর ও পানিতে ভেসে থাকা এই ফুল আমাদের সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
শাপলা ফুল ও আমাদের সংস্কৃতি
শাপলা শুধু একটি ফুল নয়, এটি বাংলাদেশের
গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি।
পুকুরে ভেসে থাকা শাপলার মাঝেই অনেক শিশুর শৈশব, কবির কল্পনা, চিত্রশিল্পীর
তুলির ছোঁয়া ও সংগীতশিল্পীর সুর লুকিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের কবিতা, গান ও চিত্রকলায় শাপলা ফুল একটি নান্দনিক অনুষঙ্গ। অনেক কবি
শাপলার কোমলতা আর সরলতাকে তুলনা করেছেন দেশের প্রকৃতি কিংবা নারীর সৌন্দর্যের
সঙ্গে।
খাদ্য হিসেবে শাপলা
শাপলা শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটি খাবার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। গ্রামীণ জনপদে শাপলার ডাঁটা রান্না করে খাওয়া হয়। শাপলার ডাঁটা ভর্তা বা ভাজি অনেকের কাছেই প্রিয় একটি দেশি খাবার।
পরিবেশে শাপলার গুরুত্ব
শাপলা একটি জলজ উদ্ভিদ, যা পুকুর ও বিলের পানিতে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি মাছের জন্য আবরণ ও আশ্রয় তৈরি করে, এবং জলজ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শেষ কথা
শাপলা ফুল আমাদের জাতীয় পরিচয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতির প্রতীক। এর সরলতা ও নান্দনিকতা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ফুল আমাদের মুগ্ধ করে আসছে, এবং আগামীতেও করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url