কাঁচা আমের উপুকারিতা ও অপকারিতা
গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল হল কাঁচা আম।এর টকস্বাদ আর সতেজ ঘ্রাণ অনেকেরই প্রিয়। সুধু সাধের জন্য নয় এর পুষ্টি গুন এবং ওষুধইগুণের জন্য ও কাঁচা আম আমাদের খাদ্য তালিকা হিসেবে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
কাঁচা আমের উপুকারিতাঃ
১ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:
কাঁচা আম পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সহায়তা করে। এতে থাকা ফাইবার এবং এনজাইম হজম প্রতিয়াকে উন্নত করে। বিশেষত গরমকালে বদহজম সমস্যা কমাতে কার্যকর।
২ তাপ প্রবাহ থেকে রক্ষা ঃ
গ্রীষ্মকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য কাঁচা আম ভেজানো জল (আমপান্না) দারুন কার্যকর। এটি শরীরে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
৩ লিভারের জন্য উপুকারি।
কাঁচা আম লিভারের কাযকারিতা উন্নত করে এবং এটি টক্সিন দূরীকরণে সাহায্য করে। লিভার পরিষ্কার রাখতে এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
কাঁচা আমের উপকারিতাঃ
যদিও কাঁচা আমের অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে অতিরিক্ত বা ভুল ভাবে খাওয়ার ফলে কিছু উপকারিতাও হতে পারে।
১. গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটি:
অতিরিক্ত কাঁচা আম খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটে অম্লতা (অ্যাসিডিটি), পেট জ্বালা এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
২. দাঁত ক্ষয়:
অতিরিক্ত টক খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাঁচা আমের অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় ঘটাতে পারে যদি নিয়মিত বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়।
৩. পেটের সমস্যা:
অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেশি কাঁচা আম খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া বা পেটের অসুস্থতা হতে পারে। কারণ এতে থাকা ফাইবার অতিরিক্ত হলে হজমের গোলযোগ তৈরি করে।
কাঁচা আম দিয়ে কিছু স্বাস্থ্যকর রেসিপি ;
১. আমপান্ন (পানীয়):
উপকরণ: কাঁচা আম, বিট লবণ,
চিনি/গুড়, জিরা গুঁড়া
প্রণালী: কাঁচা আম সিদ্ধ করে
শাঁস বের করে সব উপাদান মিশিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
২. কাঁচা আমের সালাদ:
উপকরণ: কাঁচা আম, গাজর, শসা,
লবণ, মরিচ গুঁড়া
প্রণালী: সব উপকরণ কুচি করে
কাঁচা আমের সাথে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
৩. কাঁচা আমের আচার:
ঘরে বানানো অল্প লবণ ও মশলা দিয়ে তৈরি আচার স্বাস্থ্যকর হতে পারে, তবে সংরক্ষণে অতিরিক্ত তেল ও চিনি পরিহার করা ভালো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url